৮১ দেশের জনসংখ্যাকে ছাড়াল ১৮তম নিবন্ধনের আবেদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৫ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৭ PM
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদনের সংখ্যা পেছনে ফেলেছে ৮১টি দেশের জনসংখ্যাকে। গত ৩০ নভেম্বর এই নিবন্ধনে আবেদনের শেষ দিন ছিল। এবার আবেদনের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৮ লাখ ৬৫ হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। নিবন্ধনের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ আবেদন সংখ্যা। দীর্ঘদিন পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ায় আবেদন সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যার তথ্য সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ৮১টি দেশের জনসংখ্যা ১৯ লাখের নিচে। এর মধ্যে বাহরাইন, মরিশাস, ত্রিনাদাদ এন্ড টোবাগো, সাইপ্রাস, গায়ানা, ভুটান, মালদ্বীপ, মাল্টা, আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা ১৮ লাখের কম।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হবে। নির্বাচনের আগে পরীক্ষা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে নির্বাচনের পর সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলে জানুয়ারি মাসেই পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সদস্য এস. এম. মাসুদুর রহমান বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ডিসেম্বরে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। নির্বাচনের পর আয়োজন করা হবে।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।