চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ কি আজ হবে?
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশের ফল আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হবে কি না সেই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের মুখে মুখে। ফল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক সুপারিশের ফল দেখার কার্যক্রম খুলে দেওয়ায় এই প্রশ্ন চাউর হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে টেলিটকের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক সুপারিশের ফল দেখার সার্ভারটি ওপেন করে দেওয়া হয়। এরপর এর একটি স্ক্রিনশট চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিউজরুমের নাম্বারে একাধিক চাকরিপ্রার্থী সকাল থেকেই ফোন করেন। প্রার্থীদের মনে জাগ্রত হওয়া প্রশ্নের বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এনটিআরসিএ’র একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।
আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: ৬৮ হাজার পদ পূরণ হবে না
এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রস্তুতের কাজ শেষ হলে টেলিটকের সার্ভার খুলে দেওয়া হয়। ফল প্রস্তুত হয়ে গেলে টেলিটক তাদের সার্ভারটি ওপেন করে দিতে পারে। তবে এখনও শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া যায়নি। কাজেই আজ ফল প্রকাশ করা হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিবন্ধন: পরীক্ষায় পাস করলেও মিলবে না সনদ
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) ফারজানা রসুল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজ ফল প্রকাশ করা হবে এমন কোনো তথ্য আমার কাছে এখনো আসেনি। তথ্য পেল আপনাদের জানানো হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছিলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে মামলা সংক্রান্ত যে জটিলতা ছিল সেটি কেটেছে। কাজেই আমরা আর দেরি করতে চাই না। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিক সুপারিশ করতে চাই। আশা করছি মার্চের প্রথম দিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ করতে পারব।
আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ মার্চের শুরুতে
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেছেন।