উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী ছাতার ইংরেজি বানান জানেন না!

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলে সাংবাদিক ও অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাংবাদিকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিমত জানতে চেয়েছেন। এরকম সাংবাদিকের নেয়া এক ছাত্রীর
আন্দোলনত উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী

পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল গত ১০ জুন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলে পাসের হার ছিল ৮৮.৪৪ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৯০.১৯ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৬. ৯৮ শতাংশ। এতে ৪৯৮ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম হয়েছেনর কোচবিহারের অদিশা দেবশর্মা। দ্বিতীয় পশ্চিম মেদিনীপুরের সায়নদীপ সামন্ত পেয়েছে ৪৯৭। ৪৯৬ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে আছে তিনজন শিক্ষার্থী।

প্রকাশিত ফলে অনেকে অকৃতকার্য হয়েছেন। এরকম অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ স্থানীয় বনগাঁ কুমুদিনী স্কুলের হাওড়া যশোর রাস্তার ওপর বিক্ষোভ শুরু করেন। স্কুলটির ২৭৯ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৩৭ জন। এদের মধ্যে অনেকে একাধিক বিষয়েও ফেল করেছেন।

আরও পড়ুন: প্রথম হওয়ার খবর শুনে কেঁদে দিয়েছিলাম: অদিশা

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, শিক্ষাবর্ষের মাঝে পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন করা হয়েছে। কখনও অনলাইন, কখনও বা অফলাইনে পরীক্ষা দিতে হবে বলা হয়েছে। এজন্য তারা ফেল করেছেন। বার বার সিলেবাস বদলে প্রথমে অনলাইনে পরীক্ষা হবে বললেও পরে তা অফলাইনে নেয়া হয়েছে। এসব কারণে আসলে তারা ঠিকঠাক সবকিছু বুঝে উঠতে পারেননি।

আরও পড়ুন: ‘উচ্চ মাধ্যমিকে পাস না করালে আত্মহত্যা করব’

তারা যে সকলেই একটা বিষয়ে ফেল করেছেন সেটা মানতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের দাবি, ইংরেজি একসঙ্গে এতজন ফেল করতে পারে না। ইচ্ছেকরে ফেল করানো হয়েছে তাদের।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলে সাংবাদিক ও অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাংবাদিকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিমত জানতে চেয়েছেন। এরকম সাংবাদিকের নেয়া এক ছাত্রীর ভিডিও সাক্ষাৎকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন ফেল করলাম! উচ্চ মাধ্যমিকের সব বিষয়ে পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ

ভাইরাল ভিডিওতে ছাত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আমরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ও ইতিহাসে লেটার পেয়েছি। ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে।’ এরপর রিপোর্টার জানতে চান, ‘‘আমব্রেলা (Umbrella) বানান বলো তো?’’ ছাত্রী বলেন, ‘‘কী অবস্থা! এটা কী করে? A-M-R-E-L-A...’’

মুহূর্তেই সাংবাদিকের সঙ্গে আন্দোলনরত উচ্চ মাধ্যমিকের এ ছাত্রীর কথোপকথনের ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রীর আমব্রেলা বানানের বিভ্রাট নিয়ে নেট মাধ্যমে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারও মতে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা বেহাল দশা। দ্বাদশের ছাত্রী ছাতার ইংরেজি বানান জানেন না!’’ অনেকে মজা করে ভিডিওটি শেয়ার করছেন। সেইসঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষ।