বিয়েতে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে স্কুল খুলে দেয়ার দাবি শিক্ষকের

বিয়ে
বিয়ের আসরে প্ল্যাকার্ড গলায় শিক্ষক

বিয়ের আসরে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এক শিক্ষক। এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা বিয়ে করতে পারলে স্কুলগুলিও খোলা হোক।’

ওই শিক্ষকের নাম অসীম দাস। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে এই ঘটনা ঘটে। অসিম দাস ওই জেলারই কুমারপাড়া মথুরাবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক।

গত সোমবার রাতে বিয়ে হয় তার। করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘সবকিছুই যেখানে নিয়ম মেনে চলছে তাহলে স্কুলগুলিই বা কেন বন্ধ থাকবে?’

আরও পড়ুন: বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি পেয়েছে এনটিআরসিএ

স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে অসিম দাস জানান, ‘যে স্কুলে শিক্ষকতা করি সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ছাড়া পড়াশোনার আর কোনও উপায় নেই। এতদিন ধরে স্কুল বন্ধ। তাঁদের পঠন-পাঠন ঠিকমতো হচ্ছে না। আমরা বেতন পাচ্ছি প্রতিমাসে। কিন্তু শিক্ষা? সেটাই বন্ধ হয়ে আছে। তাই অনুরোধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব দ্রুত স্কুল খোলা হোক।’

এদিকে শিক্ষকের এমন কাণ্ড নেটিজেনদের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা মাত্রই ভাইরাল হয় তাঁর বিয়ের ছবি গুলো। এই অভিনব প্রতিবাদ কৌশল নজর কেড়েছে অনেকেরই। তাঁর এই সদিচ্ছাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

আরও পড়ুন: ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্কুল খোলা নিয়ে দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। আর এবার স্কুল খোলার দাবিতে এই অভিনব পন্থা নিলেন আলিপুরদুয়ারের এই শিক্ষক।

করোনা অতিমারী থেকে বাঁচতে রাজ্য জুড়ে জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। কিছু শিথিলতা থাকলেও জনজীবন একেবারে যে স্বাভাবিক হয়েছে তা বলা যায় না। নৈশ কার্ফু, বাজার বন্ধের মতো একাধিক নিয়মাবলী মেনে চলতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। করোনার কারণে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যাও।