ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইয়ে দেয়ার ফাঁদ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
ভর্তির ফাঁদ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফাঁদ পেতেছেন শহিদুল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রুপের কমেন্ট সেকশনে শতভাগ ভর্তির নিশ্চয়তা দিয়ে কমেন্ট করছেন ওই ব্যক্তি। এতে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

নিজেকে শিক্ষা সচিব দাবি করা শহিদুল বিশ্বাস তার ফেসবুক প্রোফাইল লক করে রেখেছেন। তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার কথা জানিয়েছেন। একই সাথে ৩৩তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবেও দাবি করেছেন তিনি।

যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, শহিদুল বিশ্বাস নামে কোন শিক্ষা সচিব মন্ত্রণালয়ে নেই। সদ্য বিদায়ী শিক্ষা সচিবের নাম মো. মাহবুব হোসেন। মাহবুব হোসেনের পূর্বে ছিলেন সোহরাব হোসাইন। যিনি বর্তমানে পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া বর্তমান শিক্ষা সচিবের নাম মো. আবু বকর ছিদ্দীক। তিনি এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেননি।

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীরা যতবার চায় ততবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে’

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত একটি গ্রুপের বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টে শহিদুল বিশ্বাস লিখেছেন- ‘‘সরাসরি ভর্তি হতে চাইলে যোগাযোগ করো। ১০০% পাবলিক যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স করে দেব। ৭ কলেজে ভর্তি ইচ্ছে মতো, ন্যাশনালে ভর্তি, ঢাবি-জবিসহ যেকোন ইউনিভার্সিটি, গুচ্ছ ন্যাশনাল, ওয়েটিং থেক ভর্তি, মেরিট লিস্ট দূরে থাকলে টেনে ভালো সাবজেক্টে ভরি, যে কোন ধরনের রেজাল্ট চেইঞ্জের বিষয়ে কাজ করা হয়। ইনবক্সে মেসেজ করুন।’’

আরও পড়ুন: ইংরেজি-সাধারণ জ্ঞান ছাড়াই হতে পারে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

এটিকে প্রতারণার ফাঁদ বলে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, ফেসবুকে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটে। এগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে থাকি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনাগুলো বেশি দেখা যায়। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সচেতন হওয়া। পড়ালেখা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ভিন্ন কোনো উপায় নেই বলেও জানান তিনি।