বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল মন্ত্রণালয়
- ২১ জুন ২০২৫, ১৪:০৬
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মাসে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক অধিশাখা) মোঃ হেলালুজ্জামান সরকার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৩০ শতাংশ নারী কোটা নিয়ে আমাদের একটি সভা হয়েছে। সভায় এ বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভার রেজ্যুলেশন বের না হওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিপত্র জারি করা হবে।
আরও পড়ুন: এপ্রিলের বেতন নিয়ে দুঃসংবাদ দিল ইএমআইএস সেল
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, গত রোববার বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছ। এখন শুধু পরিপত্র জারি করা বাকি রয়েছে। সভার রেজ্যুলেশন বের হওয়ার পর পরিপত্র জারি করা হতে পারে। চলতি মাসে পরিপত্র জারি করা সম্ভব না হলে আগামী জুন মাসে পরিপত্র জারি করা হতে পারে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নারী কোটা বাতিলের বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল। সেই আবেদনের আলোকে বিষয়টি নিয়ে একাধিক সভা হয়েছে। সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। এ মতামতের ফলে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন নিবন্ধনধারীরা
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডেই (৯ম-২০) ৭ শতাংশে কোটা রেখে বাকি ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার এই মর্মে আদেশ জারি করছে, সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রে কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে/কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব গ্রেডে নিম্নরূপ কোটা নির্ধারণ করা হইল।
ক- মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, খ-মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, গ-ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং ঘ-শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা এবং বিগত ৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখের পরিপত্রটিসহ পূর্বে জারিকৃত এ-সংক্রান্ত সব পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নির্দেশ/অনুশাসন রহিত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।