দেশের ১০ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ বেকার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২, ১২:২৪ PM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২২, ০২:০৩ PM
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জানিয়েছে, ‘২০২০ সালের প্রথম দিকে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর থেকে বয়স্ক কর্মীদের তুলনায় ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রাক-মহামারির চেয়ে ৬০ লাখ বেশি। আর বাংলাদেশে এ তরুণ বেকারের সংখ্যা ১০ দশমিক ৬ শতাংশ।’
সম্প্রতি ‘বিশ্বজুড়ে তরুণদের কর্মসংস্থান প্রবণতা-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইএলও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বাংলাদেশি তরুণদের বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ হলেও, কোভিড মহামারির কারণে বেকারত্ব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।’
আইএলও জানিয়েছে, ‘বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ তরুণ। কিন্তু তারা যদি তাদের কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা না করে তাহলে বেকারের সংখ্যা আরও বাড়বে। এছাড়া বাংলাদেশে বৈষম্য ও গুণগত শিক্ষার অভাবে তরুণ সমাজের প্রায় ৭৮ শতাংশ মনে করেন পড়াশোনা করে তারা চাকরি পাবেন না। আর ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ তরুণের পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণ নেই।’
আইএলও’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় চারজন তরুণের মধ্যে একজনের শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই। ২০২২ সালের মধ্যে উচ্চ দেশগুলো প্রাক-মহামারি পর্যায়ে যেতে পারলেও নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে তরুণ বেকারদের সংখ্যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ২০২২ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে কোনো বেকারত্ব নেই: সালমান এফ রহমান।
আইএলও’র প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ‘পুরুষদের তুলনায় নারীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ২০২২ সালে সারা বিশ্বে যেখানে পুরুষদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ সেখানে নারীদের কর্মসংস্থানের ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে।’
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঐতিহাসিকভাবে, তরুণ নারীদের বেকারত্বের হার পুরুষদের তুলনায় বেশি ছিল, কিন্তু মহামারীর কারণে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইএলও’র ডেপুটি ডিরেক্টর মার্থা নিউটন জানিয়েছেন, ‘আমরা জানি যে কোভিড-১৯ মহামারীটি বিশ্বজুড়ে যুব শ্রমবাজারে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রথম চাকরিপ্রার্থীরা, স্কুল ড্রপআউট, অল্প অভিজ্ঞতাসহ যারা সাম্প্রতিক স্নাতক শেষ করেছন এবং যারা তাদের সঠিক পছন্দের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়। রিপোর্ট অনুযায়ী এ নিষ্ক্রিয়তার কারণে বছর শেষে দেখা যাবে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ তরুণ কর্মীরা এখনো কাজের সন্ধান করছেন।’
এদিকে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা সমস্যা সমাধানে টেকসই বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন। ডিজিটাল টেকনোলজিতে টার্গেটেড বিনিয়োগেও প্রচুর সংখ্যক তরুণ কর্মীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন ব্রডব্যান্ড কভারেজ অর্জনের মাধ্যমে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৪ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা যেতে পারে, যাদের মধ্যে ৬.৪ মিলিয়ন যুব কর্মী থাকবে বলে জানিয়েছে আইএলও।