৭৫ শতাংশ শিশু পর্নোগ্রাফি দেখে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ছবি

দেশের শতকরা ৭৫ দশমিক ১ শতাংশ শিশু, যাদের মোবাইলে ইন্টারনেট ডাটা রয়েছে তারা পর্নোগ্রাফি দেখছে। আত্মীয়, অনাত্মীয় বা বন্ধুদের কৌতুহলে সাড়া দিয়ে শিশুদের মধ্যে পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা বাড়ছে। শতকরা ২৬ জন মেয়েশিশু বলেছে যে, তারা আত্মীয়দের সঙ্গে পর্নোগ্রাফি দেখছে। 

বেসরকারি সংস্থা ইনসিডিন বাংলাদেশ-এর করা একটি জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পর্নোগ্রাফিতে শিশুর প্রবেশাধিকারের মাত্রা কতটা-সেটি নিয়ে জরিপ করেছিল ইনসিডিন।

জরিপের এম ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ বলে মনে করেন মনোবিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অল্প বয়সে পর্নোগ্রাফি দেখলে শিশুরা সহিংসতাসহ নানা ধরনের অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে।

যেকোনও নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে গবেষণা করা কঠিন উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, মোটামুটি প্রগতিশীল দেশেও পর্নোগ্রাফির পর্যাপ্ত ডাটা নেই৷ ৮০ শতাংশ গবেষণা হয়েছে শিক্ষকদের সহায়তায় ছাত্রদের উত্তরদাতা হিসেবে ব্যবহার করে।

এর আগে ২০১৭ সালে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা যায়, ঢাকার স্কুল পড়ুয়াদের প্রায় ৭৭ ভাগ পর্নোগ্রাফি দেখে৷ জরিপটি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে করা হয়৷ তাতে দেখা যায়, পর্নোগ্রাফি তারা ছবি, ভিডিও, অডিও ও টেক্সট আকারে ব্যবহার করে৷ জরিপে বেরিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা প্রধাণত মোবাইল ফোনে অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখে৷

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এর জরিপে বেরিয়ে আসে আরও কিছু তথ্য। তাতে দেখা যায় দেশে এর প্রবণতা বাড়ছে৷ টেক্সট, ছবি ও ভিডিও-র পাশাপাশি সেক্স টেক্সটের অডিও তৈরি করেও ছাড়া হচ্ছে অনলাইনে।


সর্বশেষ সংবাদ