এমপির হাতে পিটুনি খাওয়ার কথা অস্বীকার অধ্যক্ষের

  © সংগৃহীত

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে চলছে আলোচনা। এ ঘটনার সরাসরি কোনো বক্তব্য না দিলেও ফেসবুকে পোস্টে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ সেলিম।

নিজের ফেসবুক আইডি থেকে বুধবার রাতে পোস্ট দিয়ে তিনি দাবি করেন, তাকে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মারধর করেননি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ১৩ জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় আমাকে ও এমপি মহোদয়কে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া। এমপি সাহেবের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, একটি কুচক্রী মহল আগামী ১৫ জুলাই তানোর উপজেলায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গোদাগাড়ী তানোর নির্বাচনি এলাকায় ওমর ফারুক চৌধুরীর সুনাম, উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে।

পোস্টে তিনি দাবি করেন, সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বলে আমার বাসায় প্রবেশ করে এবং আমাকে অভিযোগ করার জন্য বিভিন্নভাবে উসকানি দিয়ে ও আমার ছবি তোলার চেষ্টা করে। আমি কোনোভাবেই তাদের ছবি তুলতে দেইনি। আমি কোনো ধরনের অভিযোগ বা মন্তব্য প্রকাশ করিনি। তার পরও আমাকে ও এমপি মহোদয়কে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন।

পোস্টে কলেজ অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন, আমরা বিভিন্ন কলেজের কয়েকজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ঈদ উপলক্ষে এমপি সাহেবের অফিসে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ সময় নিজেদের তর্কবিতর্ক হয়। এ ছাড়া কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তবে ওই শিক্ষক চাপে পড়ে ফেসবুকের ওই পোস্টটি দিয়েছেন বলে মনে করেন রাজশাহী জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি বলেন, সে এখন হয়তো ভয়ে এসব বলছে। ওই শিক্ষক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাহলে তানোরের কাউন্সিল নিয়ে তার মাথাব্যথা হওয়ার কথা নয়।

অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তিন সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে। বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ দপ্তর) আতাউর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।


সর্বশেষ সংবাদ