রমজানে বেড়েছে যানজট, হয়রান রাজধানীবাসী

রাজধানীতে যানজট
রাজধানীতে যানজট  © টিডিসি ফটো

মূল সড়ক ও সংযোগ সড়কে গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলের চাপে অসহনীয় যানজটে হয়রান রাজধানীর সাধারণ মানুষজন। এক মিনিট গাড়ি চললে জ্যামে আটকে রোদে গরমে সড়কেই বসে থাকতে হচ্ছে পরবর্তী দশ কিংবা বিশ মিনিট। সবমিলিয়ে রাজধানীবাসীর জন্য রোজা রেখে অসহনীয় যানজট, রোদ ও গরম যেন এক মহা যন্ত্রনা।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরী, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ও আজিমপুর এলাকা ঘুরে এমন ভোগান্তির চিত্রই চোখে পড়ে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় রোজা শুরু হলেও সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে আগের মতোই। স্কুল কলেজ খোলা থাকায় সকালের দিকে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশী থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে গণপরিবহনের চাপও বেড়েছে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত মোড়ে চার রাস্তার সংযোগ হওয়ায় সংযোগ সড়ক থেকে মূল সড়কে গাড়ি প্রবেশ করাতেই মহাসড়কে তৈরি হচ্ছে যানজটের। এমন অবস্থায় বিরক্ত সাধারণ মানুষজনও।

সাব্বির হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, একটু পর পর জ্যামে পড়তে হচ্ছে। দুই মিনিট গাড়ি চললে পরবর্তী দশ মিনিট আবার বসে থাকতে হচ্ছে। রোজা রেখে আমরা যারা কর্মস্থলের জন্য বের হচ্ছি তাদের মাথা ব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় যানজট আবার অফিস থেকে ফেরার পথেও একই অবস্থা। এটি আমাদের জন্য চরম ভোগান্তির।

আরও পড়ুন: মেডিকেলে প্রথম হওয়া মিমকে নিয়ে ৪ কোচিংয়ের টানাটানি

যানজট নিয়ন্ত্রণে সংযোগ সড়ক গুলোতে ডাইভারশন অথবা ও উড়ালপথ নির্মাণ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে আসাদুল নামের আরেক যাত্রী বলেন, সংযোগ সড়কগুলোর অতিরিক্ত গাড়ির উপস্থিতির ফলে মূল সড়কের গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।সড়ক ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ সময় জুড়ে অবস্থাপন্ন ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে।

তবে ভোগান্তি কমিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান সড়কে দায়িত্বপালনরত সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সায়েন্স ল্যাবরেটরি পুলিশ বক্সের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাহেদুল ইসলাম বলেন, অফিস শেষে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিকেল তিনটা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সাথে সংশ্লিষ্ট থানার ক্রাইম পুলিশ ও কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণের।


সর্বশেষ সংবাদ