বড় বোনকে স্কুলে পড়াতে লেগুনার হেলপারি করছে ১২ বছরের ইয়াছিন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:০৪ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:০৪ PM
বড় বোনকে পড়ানোর খরচ জোগাতে নিজে স্কুল ছেড়ে রাস্তায় নেমেছে ১২ বছরের ইয়াছিন। বড় বোন মেধাবী হওয়ায় লেগুনার হেলপারি করে চালাচ্ছে লেখাপড়ার খরচ।
বড় বোন শিলা স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। তাদের বাবা থেকেও নেই। দায়িত্ব নেয় না পরিবারে। মা নিলুফা বেগম একটি মেসে রান্নার কাজ করেন। মায়ের উর্পাজনে খেয়ে-না খেয়ে কোনোরকমে দিন কাটে তাদের।
আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে ইয়াছিন ও তার পরিবার। এই বয়সেই সংসারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছে সে।
নিজের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলেও বড় বোনের পড়ালেখার খরচ জোগানোর চেষ্টার কোনো কমতি নেই ইয়াছিনের।
আরো পড়ুনঃ ঢাবিতে ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত
এক বছর আগে বন্ধু আব্দুল্লার সাথে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে এসে লেগুনা চালকের হেলপারের কাজ শুরু করে ইয়াছিন।
এখন নিয়মিত বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে গাড়িতে যাত্রী উঠিয়ে টাকা আয় করছে ইয়াছিন। একটি লেগুনা বা মিনিবাসে যাত্রী উঠিয়ে ১০ টাকা পায় সে। এতে সারাদিনে ১০ থেকে ২০টি গাড়িতে যাত্রী উঠিয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা উপার্জন হয়।
শুধু ১০ টাকায় যাত্রী তোলা নয়, মাঝেমধ্যে লেগুনা বা মিনিবাসের হেলপার হিসেবেও কাজ করে সে।
হেলপার হিসেবে কাজের জন্য বাইপাইল থেকে আব্দুল্লাহপুর, আব্দুল্লাহপুর থেকে নবীনগর পর্যন্ত গাড়ির পিছনে ছুটে বেড়াতে হয় তাকে।
ইয়াছিন বলে, বাবা নেই, মা ম্যাসে রান্না করে। সেই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। সেই টাকায় আমরা ভাইবোন পড়ালেখা করতাম। আমি ৫ম শ্রেণিতে পড়েছিলাম। হঠাৎ করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেও স্কুল বেতন দিতে হতো। দুই ভাই-বোনের মাসিক বেতন ৩ হাজার টাকার উপরে। মায়ের বেতন মাত্র ৮ হাজার টাকা। তা দিয়ে কিভাবে চলবো বলেন। তাই এখন এই কাজ করি।