বাণিজ্য মেলার পর্দা নামছে আজ

বাণিজ্য মেলা
বাণিজ্য মেলা  © সংগৃহীত

বাণিজ্য মেলার পর্দা নামছে আজ। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতিবার মেলার সময় বাড়ানোর দাবি থাকলেও এবার তারা তা করেননি। করোনা সংক্রমণের জন্য ব্যবসায়ীরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা যায়। ফলে নির্ধারিত সময়েই বাণিজ্য মেলা শেষ হচ্ছে। এবারের মেলা পূর্বাচলে বসে। এটি মেলার ২৬তম আসর।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ জানান, নতুন পরিসরে নতুন জায়গায় আয়োজিত বাণিজ্য মেলা নিয়ে আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা খুশি। অন্যবার ব্যবসায়ীরা মেলার সময়সীমা বাড়ানোর কথা বললেও এবার করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় তারা আবেদন করেননি। তিনি বলেন, যথাসময়েই শেষ হচ্ছে বাণিজ্য মেলা। আমরাও চাচ্ছি মেলার সময় আর যাতে না বাড়ে। সফলভাবেই মেলা শেষ হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের মধ্যে মেলা চালিয়ে নেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া করোনার কারণে দর্শনার্থীর সংখ্যাও ছিলো অনেক কম। ফলে টিকিট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করতে পারেননি ইজারদার মীর ব্রাদার্স।

পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ১ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল। এর মধ্যে বিদেশি ৬টি স্টল ও ৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল। বাকিগুলো দেশি স্টল।

করোনা প্রকোপের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও বাণিজ্য মেলা চালু রাখায় সমালোচনা করেন অনেকেই। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়ানো করোনার নতুন ধরন ওমিক্রণে নাকাল সারাবিশ্ব। বাংলাদেশও পার করছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

করোনার এমন উর্ধ্বমুখী প্রকোপে সরকার ১৩ বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজাপন জারি করে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জোর দেয়। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে। কিন্তু করোনায় শিক্ষার্থীদের আক্রান্তের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে সরকার। পরে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অনলাইনে শ্রেণী কার্যক্রম চালু রাখার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেয়া হয়। দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু রেখেছে।


সর্বশেষ সংবাদ