পঁচাত্তরের পর কবিতায় প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  © সংগৃহীত

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে গেলেও কবিতায় প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যকে সরানো হচ্ছে

ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ দেশে আন্দোলনের ক্ষেত্রে কবি ও আবৃত্তিকারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। কেননা যখন  রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না, তখন কবিতার মধ্য দিয়েেই প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে, মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়।

এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘একজন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার যা কিছু দিয়ে গেছেন, এগুলো আমাদের সম্পদ। নীল দর্পণ নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এগিয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি, সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি।’

আরও পড়ুন: জাবির বাংলা বিভাগের সভাপতি শামীমা সুলতানা

এ সময় আবৃত্তি শিল্পকে এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদান রাখায় প্রয়াত গোলাম মুস্তাফাসহ ছয় জনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফাকে এ পদক দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয় এ পদক।


সর্বশেষ সংবাদ