১৬ তারিখ খেলা হবে: শামীম ওসমান

এ কে এম শামীম ওসমান
এ কে এম শামীম ওসমান  © ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ছয় দিন আগে রীতিমত সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, নৌকার প্রার্থী কে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়, আমরা দেখবো নৌকাকে। আমরা নৌকা পক্ষে আজ থেকে নামলাম। ১৬ তারিখ খেলা হবে এবং জয় আমরাই হবো।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে চাষাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন শামীম ওসমান

শামীম ওসমান বলেন, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের প্রেস কনফারেন্স। আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টদায়ক দিন হয়তোবা এটা। তারপরেও এখানে আসছি, আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান আমাকে আপার হাতে আমাদের ৩ ভাইকে তুলে দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে বলেছেন, এই নৌকা কার? আমি বললাম আপার। এই নৌকা কার? আমি বললাম ‘বঙ্গবন্ধুর’। তিনি বললেন, বাকিটা আপার ওপর ছেড়ে দাও। উনি আমাদের অভিভাবক।

আরও পড়ুন: দেশে শিক্ষিত মানুষরা চুরি করছে: শামীম ওসমান

সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে শামীম ওসমান বলেন, মৃত্যুর ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে বাবা আমাদের তিন ভাইকে একজনের হাতেসংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান তুলে দিয়েছিলেন। সে হচ্ছে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: শামীম ওসমানের চেয়ে বড় মাস্তান কেউ নেই

‘‘তিনি বলেছেন, আমার ছেলেরা যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে মারা যায়, আমি যেখানেই থাকি, আমি শান্তিতে থাকবো। আমরা সেই পিতার সন্তান, যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের জন্য জীবন দেওয়ার জন্য আমার নেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছেন। সেখানে আমার অবস্থান নৌকার বাইরে থাকতে পারে না।’’

শামীম ওসমান আরও বলেন, এখানে আমার প্রেস কনফারেন্স করার কথা না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মাত্র ৫ লাখ ১৯ হাজার ভোটার। সেখানে সিটির মাত্র ১০টি ওয়ার্ড আমার নির্বাচনী এলাকায়। পাশেই ফতুল্লার ৩টি ইউনিয়নে আরও ৬ লাখের বেশি ভোটার আছে, আরো দুটি ইউনিয়ন নিয়ে ভোটার সংখ্যা ৭ লাখের কাছাকাছি। সেখানেও কিছু দিন আগেই নির্বাচন হলো ইভিএমএ। সেই নির্বাচনে আমি গেলামও না, কথাও বললাম না, নির্বাচন হয়ে গেলো টেরও পেলাম না। কিন্তু সিটি নির্বাচনটা আসলেই কেন জানি একটা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।

‘‘গরিবের বউ যেমন সবার ভাবি হয়, তেমনই আমার অবস্থা হয়েছে এই। কেউ বলে, আমি উনার, উনিও বলে আমি উনার আবার দুজন দুজনকে দিয়ে দিতে চায়। কি এক অবস্থায় আমি আছি। আমি জানি না।’’

তিনি আরো বলেন, আমি একটি কারণে মানুষিকভাবে সক্ট, একটি কারণে, সেটা আপনারা জানেন। যদি আমি সেই জিনিসটা চেপে যাই, তাহলে অসত্য বলা হবে। তার ওপর আমি একজন সংসদ সদস্য, আইন প্রণেতা। নির্বাচনে নামলে আইন লঙ্ঘন হবে। তাই নিয়ম অনুযায়ী, আমি নির্বাচনে আসারও কথা না। কিন্তু আমার না আসা নিয়ে একটি পক্ষ একের পর এক ইস্যু তৈরি করেছেন। আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে, সে জন্য আমি ভাবলাম, আমার কথা বলা উচিৎ। তাই এই প্রেস কনফারেন্স।


সর্বশেষ সংবাদ