নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর কড়া নজরদারি শুরু দুদকের

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)  © লোগো

নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে দুর্নীতি প্রতিরোধে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করার জন্য কমিশন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসাবে দুদকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. আহসান আলীর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।

এছাড়া বর্তমানে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। কমিশন যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে এসব অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন ‘হার্ডলাইনে’ কাজ শুরু করেছে দুদক। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, কমিশনের এ অনুসন্ধান যেন লোক দেখানো না হয়। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের মতো সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানও যেন সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সঙ্গে করা হয়। দুদকের সাবেক কর্মকর্তার পাশাপাশি বর্তমানে কর্মরত কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে অপরাধী প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

৯ ডিসেম্বর ‘আজন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রপতি দুদককে নিজ ঘর থেকে অভিযান শুরুর নির্দেশনা দেন।

জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, সাবেক ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। অনুসন্ধানসহ অন্যান্য কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কমিশনের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করা হবে। অনুসন্ধানে অপরাধ প্রমাণিত হলে অন্য সবার মতো কমিশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, কমিশনের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি কাজ করে চলেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নজির রয়েছে।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতিকালে দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির বিষয়টি বেশ আলোচিত। কমিশনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ। তবে এ অনুসন্ধান যেন লোক দেখানো না হয়। সাবেক ওই কর্মকর্তা অপরাধী প্রমাণিত হলে দেশের অন্য সব নাগরিকের মতো তার বিরুদ্ধেও যেন যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এটি করা সম্ভব হলে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে। যা অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক হবে। শুধু সাবেকই নয়, বর্তমানে দুদকে কর্মরত কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ওইসব অভিযোগগুলোর যথাযথ অনুসন্ধানের ব্যবস্থা নেওয়া এবং অপরাধী প্রমাণিত হলে আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তিনি।

 


সর্বশেষ সংবাদ