সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের পাঁচজন একই স্কুলের শিক্ষার্থী
ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের পাঁচ খেলোয়ার একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা সকলেই রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন।
এই পাঁচ খেলোয়াড় হলেন আনাই মগিনি, আনুচিং মগিনি, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও রুপনা চাকমা।
জাতীয় দলের পাঁচ নারী খেলোয়াড়ের মধ্যে মনিকা, আনুচিং ও আনাই ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। অন্য দুজনের মধ্যে গোলরক্ষক রুপনা ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ছেন এবং ঋতুপর্ণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে বিকেএসপিতে চলে যান।
আরও পড়ুন: ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
জানা গেছে, আনাই মগিনি ও আনুচিং মগিনির বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সাত ভাইয়ের গ্রামে। মনিকা চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি গ্রামে। ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মঘাছড়ি গ্রামে। আর রুপনা চাকমার বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ভুঁইয়োছড়ি গ্রামে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত অহমে ভোগেন সাকিব
২০১১ সালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ দিয়ে শুরু হয় আনাই মগিনি, মনিকা চাকমা ও আনুচিং মগিনিদের ফুটবল। ২০১২ সালে সবাইকে ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে তাঁদের নিয়ে নারী ফুটবল দল গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে এই খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা ঘর নির্মাণ ও থাকা–খাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেন। তাঁদের অনুশীলনের জন্য শান্তি মনি চাকমা নামের এক প্রশিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এই খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষক শান্তি মনি চাকমা বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। অনূর্ধ্ব–১৯ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের পাঁচজনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাঁদের নিয়ে আমি গর্ববোধ করি।’