পরীক্ষার হলে সন্তান প্রসব করলেন মাদ্রাসাছাত্রী
নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসবব্যথা নিয়ে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মেহেরুন্নেসা নামে (১৯) এক শিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষার এক ঘণ্টা না হতেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসব করেন মেহেরুন্নেসা।
আরও পড়ুন: রাখালের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ঢাবি শিক্ষক শিমুল হালদার
তিনি মদন পৌর সদরের সাজন মিয়ার স্ত্রী। উপজেলার মুজাফফ্ফর আলিম মাদ্রাসা থেকে এবার আলিম পরীক্ষায় অংশ নেন।
জানা যায়, আলিম দ্বিতীয় বর্ষে থাকতেই সাজনের সঙ্গে মেহেরুন্নেসার বিয়ে হয়। বিয়ের পরও লেখাপড়া চালান মেহেরুন্নেসা। শনিবার রাতে প্রসবব্যথা হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার তার বালাগাত মানতিক বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এদিন হাসপাতালে থেকেই পরীক্ষায় আংশ নেন তিনি। তবে এক ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর প্রসবব্যথা বাড়তে থাকে। পরে বেলা ১১টার দিকে তিনি কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
আরও পড়ুন: ‘আল বিদা’ স্ট্যাটাস দিয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই কলেজছাত্র উদ্ধার
শিক্ষার্থীর বাবা বেলাল আহমেদ জানান, গত বছর আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। গতবর্তী অবস্থায় চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। শনিবার রাতে প্রসবব্যথা শুরু হলে হাসপাতালে দেয়া হয়। সেখানেই সন্তান জন্ম দেয় মেয়েটি।
মোজাফফর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম তালুকদার বলেন, করোনাকালীন মাদরাসা বন্ধ হলে অনেক ছাত্রী ঝরে গেছে। মেহেরুন্নেসার ইচ্ছাশক্তির কারণে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরীক্ষায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও ২ দিন
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মইনুল হোসেন জানান, অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মেয়েটি। যেকোনো সমস্যায় তার পাশে ছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।