বাস-ট্রাক ধর্মঘট, চিন্তায় ভর্তিচ্ছু-চাকরিপ্রার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ০৮:৪৫ PM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১০:১৫ AM
একাধিক ভর্তি পরীক্ষাসহ বেশকিছু চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা। যানবাহন বন্ধ থাকার ঘোষণায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভর্তিচ্ছু-চাকরিপ্রার্থীদের।
তথ্যমতে, আগামীকাল শুক্রবার ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ‘বাণিজ্য’ ইউনিট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, কর কমিশনারের কার্যালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ ২৬ প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আগামী শনিবার (০৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির মূল লিখিত পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ধর্মঘটের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে।
খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ রাসেল। কিন্তু যানবাহন বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
রাসেল বলেন, অনেক টাকার বিনিময়ে একটি চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করেছি। এখন কর্তৃপক্ষ যানবাহন বন্ধের ঘোষণঅ দিয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও পরীক্ষা স্থগিতের কোন নির্দেশনা পাচ্ছি না। টাকার বিনিময়ে কেনা ফরমে পরীক্ষা তো বাদ দেওয়া যায় না। যেকোন মূল্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হতে চাই। প্রয়োজেনের আমাদের রিকশায় ভাড়া করতে হবে।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ‘বাণিজ্য’ ইউনিটের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে আশিকুজ্জামানের। তিনি বর্তমানে যাত্রাবাড়ী এলাকায় রয়েছেন। আশিক বলেন, আমার কোথাও চান্স হয়নি। অনেক আশা নিয়ে সাত কলেজে আবেদন করেছি। এটাই আমার একমাত্র ভরসা। গ্রাম থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মামার বাসায় উঠেছি। যানবাহন বন্ধের খবরে আমি এখন বাঙলা কলেজের পাশে বন্ধুর মেসে চলে যাচ্ছি।