১০ম প্রজ্ঞাপনে খুলেছে অনেককিছুই, এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যা যা বন্ধ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ০৮:২৮ AM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২১, ০৮:৪৯ AM
করোনাভাইরাসের কারণে চলছে টানা বিধিনিষেধ। সবশেষ বুধবার (১৬ জুন) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মেয়াদ বেড়েছে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। বুধবার জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত ১০ নন্বর প্রজ্ঞাপন। এতে শর্ত সাপেক্ষে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও আদালত খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১২ এপ্রিল থেকে এগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে আগের ৯ প্রজ্ঞাপনে একে একে খুলে দেওয়া হয় মার্কেট, শপিংমল, হাটবাজার, বিমানের ফ্লাইট, বাস সার্ভিসসহ আরও অনেক কিছু। চলছে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজারও। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে খোলা হয় খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ। নির্দিষ্ট সংখ্যায় বসতে পারবে গ্রাহক।
দাবির মুখে সব ধরনের গণপরিবহনও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারছে। সবক্ষেত্রে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে এসব প্রজ্ঞাপনে খোলার অনুমতি পায়নি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সবশেষ ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাও।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চায়। করোনার মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে গেলে সেটা যদি নাই পারি তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কি ব্যবস্থা করা যায়, সে সম্পর্কে প্রস্তুতি আগেই রয়েছে।’
বাংলাদেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ১৫ শতাংশ। সংক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সংক্রমণ পাঁচ শতাংশে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এখনও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে পার্ক, বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার। সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও রয়েছে। অবশ্য মহামারির মধ্যেই প্রস্তুতি চলছে নির্বাচনের।
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোশরফ হোসেন জানিয়েছেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মেনে কাজ করেছি আমরা। আগামী ২১ জুন ১০টি ইউনিয়নের নির্বাচন। এ জন্য ইউএনও অফিস বন্ধ রাখার সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘রাষ্ট্রের জরুরি কাজ পরিচালনার স্বার্থেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খোলা রয়েছে শুরু থেকেই।’ তবে অর্ধেক জনবল দিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।