চাকরির বয়স এক বছর বাড়ানোর পক্ষে অনেক সরকারি কর্মকর্তা

করোনার ক্ষতি পোষাতে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় এক বছর বাড়ানোর পক্ষে অনেক কর্মকর্তা
করোনার ক্ষতি পোষাতে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় এক বছর বাড়ানোর পক্ষে অনেক কর্মকর্তা  © ফাইল ফটো

করােনার কারণে গত বছরের ১৭ থেকে বন্ধ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমেই বাড়ছে। যদিও সরকার এখনো পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। প্রয়োজন হলে এক বছর অপেক্ষা করে হলেও পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে তারা। কোনোভাবেই অটোপাসের পক্ষে নন তারা।

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিও প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করা উচিত বলেও বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। কিন্তু করােনার কারণে শিক্ষাপঞ্জি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সবশেষ ঘােষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি থাকবে।

বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, অনেক কর্মকর্তা এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার জন্য প্রয়ােজনে এক বছর অপেক্ষা করার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অন্তত এক বছর বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলছেন তাঁরা। তাদের মতে, পরীক্ষা ছাড়া অটোপাস করানাে হলে পরে চাকরিতেও সমস্যা হতে পারে।

শিক্ষা বাের্ড সূত্র জানায়, পরীক্ষা দুটি নিয়ে এখনকার পরিকল্পনা হলাে, ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে এই পরিকল্পনা নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খােলার ওপর। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করিয়ে সিলেবাস শেষ করা হবে। কিন্তু কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, তা অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এখনাে আমাদের সিদ্ধান্ত হলাে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া। সে জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছি। এরপরও করােনা পরিস্থিতি ভয়াবহ খারাপ হলে, তখন বিকল্প চিন্তা করতেই হবে।’

শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো সরকারিভাবে বিকল্প মূল্যায়নের জন্য বলা হয়নি। তবে বিকল্প নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকের বিভিন্ন মত আছে। এর মধ্যে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে, যা শুরু হয়েছে। এসএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করার চিন্তাও আছে। তবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলােচনা করে বিকল্প ঠিক করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ