বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ
প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে বিতর্কিত করেন কেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১, ০৯:০৯ PM , আপডেট: ০৮ জুন ২০২১, ০৯:০৯ PM
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী ফাতেমা খাতুনকে জামিন দেওয়া হবে না কেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ সময় আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে বিতর্কিত করেন কেন? রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেন কেন? আপনার কাছে এটা ছোট অপরাধ মনে হতে পারে, কিন্তু বিষয়টি নমনীয় দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই।
আইনজীবী বলেন, আবেদনকারী গত বছরের ১০ মে থেকে কারাগারে রয়েছে। অসুস্থ তিনি। জবাবে আদালত বলেন, কিছু করার নেই। পরে আদালত আসামির জামিন নিয়ে রুল জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথিও পাঠানো হয় মন্ত্রণালয় থেকে। সেই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে দেওয়া হলে অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক দেন তিনি। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে নথিটি অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে গেলে তিনি ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানান, এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি।
এরপর কৌশলে নথিটি বের করে ফরহাদ নামে একজনকে দেন ফাতেমা। তাতে প্রধানমন্ত্রীর টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে ক্রস চিহ্ন দেন তরিকুল। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস দিয়ে এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক দেন তিনি। পরে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা বিকাশে ১০ হাজার টাকা নেন। পরে আরেক দফায় তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টে আরও ১০ হাজার টাকা নেন। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম গত বছরের ৫ মে মামলা করেন। মামলায় ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।