স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে সাইকেলে ২৮০ কিমি পাড়ি শিক্ষিকার

২৮০ কিলোমিটার পথ বাইসাইকেল চালিয়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে গেছেন শিক্ষিকা মৌসুমী আক্তার এপি
২৮০ কিলোমিটার পথ বাইসাইকেল চালিয়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে গেছেন শিক্ষিকা মৌসুমী আক্তার এপি  © সংগৃহীত

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন তিনি। সেজন্য ঢাকা থেকে ২৮০ কিলোমিটার পথ বাইসাইকেল চালিয়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে গেছেন শিক্ষিকা মৌসুমী আক্তার এপি। একজন নারী হয়েও এত বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করায় অবাক স্থানীয়রা। তার সাহসিকতাকে স্বাগত জানিয়েছেন সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধবসহ স্বজনরা।

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের রথবাড়ি মহল্লার আব্দুল হাকিম তালুকদারের মেয়ে মৌসুমি আক্তার। ঢাকার গোলাপবাগে থাকেন। বনানীর চিটাগাং গ্রামার স্কুল ঢাকা’ নামে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। তবে করোনার মধ্যে ঈদুল ফিতরের ছুটি পেয়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। এ পরিস্থিতিতে গণপরিবহনে না গিয়ে বাইসাইকেলে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

জানা গেছে, সোমবার (১০ মে) বিকাল ৪টার দিকে গোলাপবাগ থেকে বাইসাইকেলে রওনা দেন মৌসুমি। জাহাঙ্গীর নগরে তার সঙ্গী হন সিরাজগঞ্জের মীর রাসেল নামে অনার্স তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র। সেখান থেকে তারা দু’জনে বাইসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখান থেকে রাসেলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভূঁইয়াগাতিতে পৌঁছান তারা।

তবে রাসেল বাড়ি ফিরলে একা হয়ে যান মৌসুমি। এরপর একাই টানা সাইকেল চালিয়ে পৌঁছান বগুড়ায়। সেখানে বন্ধু মালার বাসায় যাত্রাবিরতি নেন। সেখানে সাহরি শেষে আজ মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল ৬টায় রওনা হন। ১৪ ঘণ্টা সাইকেল চালানোর পর পৌঁছে যান সান্তাহারে। এভাবেই তিনি বাড়ি ফেরেন।

মৌসুমি আক্তার এপি বলেন, ‘লকডাউনে ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ। অন্য যানবাহনে যেতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরতে হবে। সেজন্য বাড়ি ফিরতে এমন উদ্যোগ নিই। বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার শখও ছিল। মনের শক্তি জোরে রোজা রেখে সাইকেলে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে।’

সান্তাহার পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মৌসুমি নারী হয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্খাপন করেছে। তার এমন সাহসিকতা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণাও হয়ে থাকবে।’


সর্বশেষ সংবাদ