রাজধানীতে বেড়েছে ব্যক্তিগত যান চলাচল, বের হচ্ছেন মানুষ
- হাসান তামিম
- প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩০ AM , আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩৮ AM
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশেই চলছে আটদিনের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ। তবে লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি এবং সাধারণ মানুষের চলাচল।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর ধানমণ্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে বেড়েছে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি ও রিকশার সংখ্যা। তবে অযথা মানুষের ঘোরাফেরা রোধে এসব এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং থানার সম্মিলিত চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কেউ যেন অপ্রয়োজনে বাহিরে বের না হন বা অযথা ঘোরাফেরা না করেন সেটি আমরা কঠোরভাবে নজরদারি করছি।
তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষজনকে পড়তে হচ্ছে বেশ ভোগান্তিতে। স্বল্প কিংবা দীর্ঘ দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে নির্ভর করতে হচ্ছে রিকশার উপর। আর এই সুযোগে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
জরুরি প্রয়োজনে কলাবাগান থেকে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার জন্য রিকশাচালকের সাথে দরকষাকষি করতে দেখা গেল বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন-অর-রশীদকে। সবশেষ ১৪০ টাকা ভাড়ায় রওয়ানা হলেন তিনি। বললেন, গ্রাম থেকে এক রোগী এসেছে তাকে সহযোগিতার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যেতে হচ্ছে। কিন্তু কোন প্রকার গণপরিবহন না থাকায় রিকশা চালকরা ভাড়া চাইছেন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
অপরদিকে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজার এবং দোকানপাট নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। শুক্রাবাদ কাঁচা বাজারের অধিকাংশ বিক্রেতাকেই মাস্ক পরিধান করতে দেখা যায়নি। তবুও যারা মাস্ক পড়েছেন তারা নাকের নিচে অথবা থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুরদাস মালো দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বাজারে এবং দোকানপাটে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে আমাদের টহল পুলিশ নজরদারি রাখছে। আসলে এ মুহূর্তে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে লকডাউনের সুফল পাওয়া যাবে না।’