স্থায়ী শহীদ মিনার পেল ২৬ বিদ্যালয়

প্রথমবারের মতো স্থায় শহীদ মিনার পেল প্রতিষ্ঠানগুলো
প্রথমবারের মতো স্থায় শহীদ মিনার পেল প্রতিষ্ঠানগুলো  © টিডিসি ফটো

স্কুলগুলোতে আগে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবস পালন করা হতো। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করে দিবস পালন করা হতো।

তবে এবারের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস থেকে তাদের আর অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করতে হবে না। এবার স্থায়ীভাবে নির্মিত স্মৃতির মিনারে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাবে শিক্ষার্থীরা। প্রথমবারের মতো স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছে স্থানীয় দুটি ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদ দুটির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে শহীদ মিনার।

প্রতিষ্ঠানগুলো মৌলভীবাজারের বড়লেখার। এ উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ১৫টি প্রাথমিক, ৩টি মাধ্যমিক ও উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় লোকজন ও চেয়ারম্যানের উদ্যোগে উত্তর শাহবাজপুরে আরো ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ মিনার পেয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) এর আওতায় দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারে ব্যয় হয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬২৬ টাকা। একই প্রজেষ্টের আওতায় উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ টাকা।

দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, এ প্রকল্পের টাকা অন্য উন্নয়নকাজে ব্যবহার করা হতো। আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী এলজিএসপি প্রকল্প থেকে ১৮টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিয়েছি। আরো প্রতিষ্ঠানে হচ্ছে। এবার শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।

উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি কোমলমতি শিশুরা যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে এবং দিবসগুলোর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে সে জন্য শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫টি বিদ্যালয় ও আমার ব্যক্তিগত এবং এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় আরো ৩টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগে শহীদ মিনার ছিল না। ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপির প্রকল্প থেকে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। খুব সুন্দর কাজ হয়েছে। এ ছাড়া যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সেগুলোতে তৈরি করে দেওয়া হবে। বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় এখন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় দিবসগুলোর তাৎপর্য ও শহীদদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।


সর্বশেষ সংবাদ