আজ চৈত্র সংক্রান্তি, কাল বাংলা নববর্ষ

বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি আজ। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার এদিন বাংলা বর্ষেরও শেষ দিন।পরের দিন মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৭। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এই আহ্বান জানাবে বাঙালি।

বাংলা উইকিপিডিয়া সূত্রমতে, চৈত্র থেকে বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত সূর্যের যখন প্রচণ্ড উত্তাপ থাকে তখন সূর্যের তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিল।

আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন।

কথিত আছে চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।

তবে, এবার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে পয়লা বৈশাখসহ সবধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সারাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে এই ছুটি। এই অবস্থায় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে কোন আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না এবার।

তবুও, মঙ্গলবার সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। যে স্বপ্ন, করোনাভাইরাস মুক্ত নতুন বিশ্ব – নতুন বালাদেশ । বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙ্গালি করোনা মহামারি থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়েই আগামীকাল পুরনো বছরকে বিদায় আর পরের দিন নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।-বাসস


সর্বশেষ সংবাদ