বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং প্রভাবমুক্ত থেকে বিচারকাজ পরিচালনা করছে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। স্পিকার ডঃ শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে বর্তমানে ইতালিতে আছেন। তাঁর অবর্তমানে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে বিচার বিভাগ জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। আমরা জনগণের মধ্যে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। অপরাধীর কোনো দল নেই, তার পরিচয় কেবলই অপরাধী এবং অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন তার বিচার হবেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে বিচার বিভাগ দেশের বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্রসংক্রান্ত মামলা, সিলেটের শিশু রাজন ও খুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলা, নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মামলা এবং জাপানি নাগরিক কুনিও হোশির হত্যা মামলাসহ চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর রায় প্রদান করেছে। তা ছাড়া হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা করে দেশি–বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। হোলি আর্টিজান মামলায় ৭ জন আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করে বিচার নিষ্পত্তির মাধ্যমে এই চক্রান্তকে রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা, ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুমাইয়া রিশা হত্যা মামলা, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীবের মামলা, গাইবান্ধার সংসদ সদস্য লিটন হত্যা মামলাসহ বহুল আলোচিত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

সংসদ নেতা বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ড শুধু আলোচিত ঘটনাই নয়, এসব হত্যাকাণ্ড মানুষের সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়েরই নামান্তর। কিন্তু আমরা বিচার বিভাগের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে এসব মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি, ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃত দোষী আসামিরা যাতে সাজা পায় এবং নিরপরাধ, নিরীহরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচার বিভাগে নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সাংসদ মুহিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করেছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন। এই ব্যবস্থার পরিবর্তে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।


সর্বশেষ সংবাদ