অবশেষে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ‘মৃত’ দেখানো সেই সুরধ্বনী
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ AM , আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ AM

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মৃত দেখিয়ে দেড় বছর ধরে বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল সুরধ্বনী রানী করকে (৭৮)। অবশেষে তার ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি চলতি মার্চ মাস থেকে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ।
জানা গেছে, সুরধ্বনী তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের মৃত নরেন্দ্র চন্দ্র করের স্ত্রী। তিনি ৭-৮ বছর ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছিলেন। তবে বছর দেড়েক আগে, হঠাৎ তার মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি মারা গেছেন। চেয়ারম্যান-মেম্বারের দেওয়া মৃত্যুসনদে সুরধ্বনীকে মৃত দেখিয়ে তার জায়গায় অন্য একজনকে ভাতাভোগী করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সুরধ্বনী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সমাজসেবা অফিসে গিয়েছিলাম। তাদের কথামতো নতুন একটি মোবাইল নম্বরে নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে জমা দিয়েছি। এই মাস থেকে ভাতা পাবো বলে জানিয়েছেন। স্বামী মারা গেছে ২০ বছর আগে। অনেক কষ্ট করে চলতে হয়। ভাতার টাকাটা পেলে ওষুধপত্র কিনে কোনো রকমে চলতে পারব।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বারের মৃত্যুসনদের ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী সুরধ্বনী রানীর স্থলে অন্যজনকে ভাতাভোগী করা হয়েছিল। তিনি যেহেতু জীবিত আছেন, তাই ওই এলাকার অন্য এক মৃত ব্যক্তির জায়গায় তাকে প্রতিস্থাপন করে ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মার্চ মাস থেকে তিনি ভাতা পাবেন। এ ঘটনায় তেঁতুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জহরকে শোকজ করেছে প্রশাসন।’
এ বিষয়ে ইউএনও জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি নজরে আসা মাত্র, সুরধ্বনী রানীর ভাতার ব্যবস্থা করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিই। এরই মধ্যে তার ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, মৃত্যু সনদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে শোকজ করা হয়েছে।