২০২৪ সালে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের ৬.৮ শতাংশ মাদ্রাসার, যে বয়সে বেশি

২০২৪ সালে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদ্রাসার ৬.৮ শতাংশ
২০২৪ সালে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদ্রাসার ৬.৮ শতাংশ  © প্রতীকী ছবি

২০২৪ সালে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদ্রাসার ৬.৮ শতাংশ। এর মধ্যে ১ থেকে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বেশি। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর বিষয়বস্তু ছিল ‘২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি’।

এতে জানানো হয়, ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারী মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১০ জন। এর মাঝে স্কুল, কলেজ , মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আত্মহত্যা সম্পর্কিত রিপোর্ট মিডিয়াতে কম এসেছে বলেই তারা মনে করছেন।

২০২২ সালে দেশে আত্মহত্যাকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৩২ জন এবং ২০২৩ সালে ৫১৩ জন। আত্মহত্যার শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১-১২ বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ছিল সবচেয়ে বেশি, ৪৭.৬ শতাংশ। 

এর পরে ১৩-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ছিল ৪৭.৬  শতাংশ এবং ২০-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি কমে দাঁড়িয়েছিল  ৪.৮ শতাংশে। লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, পুরুষ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৫৭.১৪ শতাংশ এবং নারীদের ৪২.৯ শতাংশ।

আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৪৬ শতাংশই মাধ্যমিকের

আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসেবে অভিমানই সবচেয়ে বেশি। ৫৭.১ শতাংশ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অভিমানের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। যৌন হয়রানি এবং একাডেমিক চাপ উভয় ক্ষেত্রেই ৪.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণত আত্মহত্যার ঘটনা কম হবে বলেই সবার ধারণা ছিল। তবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও বিষণ্ণতায় ভুগছেন, যা আমাদের ধারণার বিপরীত।

ভার্চুয়াল এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সায়্যেদুল ইসলাম সায়েদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. জামাল উদ্দীন, আইনজীবী ও লেখক ব্যারিস্টার নওফল জামির, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ