সবজির বাজারে স্বস্তি, মুরগি-চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী

বাজার চিত্র
বাজার চিত্র  © সংগৃহীত

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। তবে সিন্ডিকেটের দাপটে মুরগি ও চালের বাজারে বিরাজ করছে অস্থিরতা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে। 

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লতি ৫০-৬০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা,  কাঁচা টমেটো ৪০-৫০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৬০-৮০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। 

আলুর বাজারেও স্বস্তির খবর রয়েছে। দাম কমে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায় তবে পুরোনো আলু পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকা বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি দামে।

এছাড়া, প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকটাই কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৫০- ৫৫ ও পুরোনো পেঁয়াজ ৭৫- ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে কিছুটা দাম বেড়েছে দেশি রসুনের। 

ব্যবসায়ীরা জানান, 'গত সপ্তাহের তুলনায় আজ শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সব সবজি বাজারে আসায় দাম তুলনামুলকভাবে কমছে।'

সবজির দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে সব জাতের মুরগির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সোনালি ও কর্কের। কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সোনালি ও কর্ক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়। ৬৫০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না দেশি মুরগি। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। 

এদিকে গত দুই সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা।  প্রতি কেজি মিনিকেট চাল  ৭৮-৮০ টাকায় ও নাজিরশাইল ৮০-৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগেও মিনিকেট চাল ছিল ৬৮- ৭৫ টাকা ও নাজিরশাইল ছিল ৭০ -৭৮ টাকা। 

বিআর-২৮ জাতের চালের কেজি দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। ২ থেকে ৫ টাকা দর বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এ ছাড়া  মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। ১৫ দিন আগে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মোটা চাল কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা চালের সরবরাহও দেখা গেছে। মিনিকেট জাতের এ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায়।

 বিক্রেতারা জানান, মিলার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার। এ বিষয়ে মুক্তা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. শাহাজান মিয়া বলেন, 'ধানের দাম বাড়ছে এমন অজুহাতে মিলাররা চালের বাজার গরম করছেন। মিল পর্যায়ে দুর্বল তদারকির কারণে সরকারকে বিপদে ফেলতে মিলাররা কৌশলে দাম বাড়াচ্ছেন।' 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence