১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১০

আইসিজির প্রতিবেদনে উঠে এলো অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জগুলো

আইসিজি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস  © সম্পাদিত

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে, ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নানা সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছে বর্তমান সরকার।

অন্তর্বর্তী সংস্কারের প্রথম ১০০ দিন নিয়ে ‘আ নিউ এরা ইন বাংলাদেশ? দ্য ফার্স্ট হানড্রেড ডেজ অব রিফর্ম’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ’ (আইসিজি)।  

সংস্থাটি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আকাশচুম্বী জনপ্রত্যাশা সামলানো হবে খুবই চ্যালেঞ্জের। আর প্রধান রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সমর্থন ধরে রাখা ইতোমধ্যেই চ্যালেঞ্জিং বলে প্রমাণিত হচ্ছে।  

নতুন কী? অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার তিন মাস পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার অ্যাজেন্ডা আরও স্পষ্ট হচ্ছে, একইসঙ্গে এর সামনে এগোনোর পথে থাকা সুপ্ত বিপদও। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকার আরও এক বছর এবং সম্ভবত এর চেয়েও বেশি সময় দায়িত্ব পালন করে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতকে যে চরম উভয় সঙ্কটে ফেলেছে শেখ হাসিনা

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পর শাসনব্যবস্থার উন্নতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এমন সুযোগ পেয়ে পেয়েছে, যা এক প্রজন্মের সামনে একবারই আসে। এ সুযোগ আরেকটি স্বৈরাচারী সরকারের উত্থানের পথ বন্ধ করতে পারে। যদি এ অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খায়, তবে দেশটি আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে অথবা এমনকি সামরিক শাসনের সময়েও প্রবেশ করতে পারে।

কী করা উচিত? অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত, আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কারের জন্য জনসমর্থন ধরে রাখতে দ্রুত ফলাফল দৃশ্যমান করা। এ সরকারের অনেক বেশি সময় ক্ষমতায় থাকাটা এড়ানো এবং নতুন পদক্ষেপের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা উচিত। দেশের বাইরের পক্ষগুলোর উচিত সহায়তার হাত বাড়ানো; ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের মাঝে দেশটির ভাবমূর্তি মেরামতে কাজ করা।

সারসংক্ষেপ অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠা শেখ হাসিনার গণ-অভ্যুত্থানে পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নিয়ে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দ্রুতই রাজনৈতিক, শাসনব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের সাহসী এজেন্ডার একটি চিত্র তুলে ধরেন।  

বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য জনগণের প্রবল আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে অনেক বাংলাদেশিই হাসিনার পতনকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ (১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে) হিসেবে অভিহিত করছেন। এখন পর্যন্ত ইউনূস ও তার সহকর্মীদের প্রতি ব্যাপক সমর্থন রয়েছে, কিন্তু জনপ্রত্যাশার ভালো-খারাপ ‍দুই ধরনের পরিণতিই রয়েছে।  

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যেতে চাননি

যদি সংস্কার আনতে অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খায়, সম্ভবত এর পরিণতি দাঁড়াতে পারে সামান্য অগ্রগতিসহ একটি আগাম নির্বাচন; সবচেয়ে খারাপ দৃশ্যপটে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নিতে পারে। যখন অন্তর্বর্তী সরকার মূল সংস্কারগুলো ঘিরে ঐকমত্য গড়ে তুলছে এবং দেশকে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে, তখন তাদের সামাজিক সমর্থনের ভিতকে শক্তিশালী রাখতে কিছু দ্রুত অর্জনের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনায় সাহায্য করতে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর উচিত ইউনূসের প্রশাসনকে সমর্থন দেওয়া এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা।

১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনার সরকার ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ক্ষমতা ধরে রাখতে তার সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর, বিশেষ করে পুলিশ, বিচারব্যবস্থা ও আমলাতন্ত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে। ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সরকারবিরোধীদের ওপর নিয়মিত দমন-পীড়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, চরম সামাজিক বৈষম্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে তার দল আওয়ামী লীগের সমর্থন দুর্বল করেছে।  

দলটি জানুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়েছিল, তবে সেই জয় এসেছিল বিরোধীদের বর্জন এবং কম ভোটার উপস্থিতির কারণে। জুনে সরকারি চাকরিতে বিতর্কিত কোটা পুনর্বহালে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে স্ফুলিঙ্গের মতো কাজ করে, যা পরের মাসে গণবিস্ফোরণে রূপ নেয়। সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং মারাত্মক দমন-পীড়নসহ হাসিনার নৃশংস পদক্ষেপে ছাত্র আন্দোলন জনসমর্থন পাওয়া বিদ্রোহে রূপ নেয়, যা তাকে তড়িঘড়ি করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে।

আরও পড়ুন: কী হয়েছিল শেষ মুহূর্তে, যে পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা

হাসিনার বিদায়ে যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল তা টিকে আছে, কিন্তু সামনের পথের ‍রূঢ় বাস্তবতা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংকটে থাকা অর্থনীতি ধীরে এগোচ্ছে, এক মাসের বেশি সময়ের বিক্ষোভ এবং ক্ষমতা হস্তান্তর ঘিরে অনিশ্চয়তায় সেটি আরও ধাক্কা খেয়েছে।  

অধ্যাপক ইউনূসের সরকার প্রধানত বিক্ষোভ বিরোধী দমন-পীড়নে ব্যাপকভাবে জড়িত একটি পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্ভর করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হিমশিম খাচ্ছে। জনগণের সমর্থন ধরে রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এর বিদ্যমান আইনে জোড়াতালি দেওয়া আইনি ভিত্তির কারণে।

দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনও হবে অনেক বড় অর্জন। আর অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে এ যাবৎকালের সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক হলেও এর অনেক সদস্যের সরকার ও প্রশাসন পরিচালনায় তেমন অভিজ্ঞতা নেই। প্রধান রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সমর্থন ধরে রাখা ইতোমধ্যেই চ্যালেঞ্জিং বলে প্রমাণিত হচ্ছে: কেউ কেউ আগাম নির্বাচনের সুবিধার জন্য অবস্থান নিয়েছেন, এমনকি অধ্যাপক ইউনূসের মিত্ররাও সাংবিধানিক সংস্কার এবং হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে আসছেন। যদিও হাসিনার দল এখন বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে, ইউনূসকে আওয়ামী লীগ-পন্থি গোষ্ঠী ও ব্যক্তিদের বাধার মুখেও পড়তে হতে পারে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা: গণতন্ত্রের আইকন যেভাবে একনায়ক

পূরণ করা তো দূরের কথা, আকাশচুম্বী জনপ্রত্যাশা সামলানোই হবে খুবই চ্যালেঞ্জিং। অভিজ্ঞতা বলে, অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি ক্ষমতায় থাকতে চাইবে, আগাম নির্বাচনের দাবি তত জোরদার হবে এবং তাদের বৈধতা নিয়ে আরও বেশি সন্দেহ দেখা দেবে।  

অধ্যাপক ইউনূস সমাজের দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে আঘাত করতে পারে এমন অর্থনৈতিক সংস্কার এবং হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি কতটা করবেন- এসব বিষয়সহ অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। অনেক বাংলাদেশি আওয়ামী লীগের নিপীড়নের প্রতিশোধ নিতে চান, যে প্ররোচনা তিনি সঠিকভাবেই প্রশ্রয় দিতে আগ্রহী নন।

যদিও চ্যালেঞ্জ অনেক, এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের সামনে অভূতপূর্ব এক সুযোগ নিয়ে এসেছে। ১৯৯০ সাল থেকে দুটি দল- হাসিনার আওয়ামী লীগ আর তার চরম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে, পালাক্রমে সরকার গঠন করেছে।  

আরও পড়ুন: সামরিক হেলিকপ্টারে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা

উভয়ই রাষ্ট্রীয় অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করেছে, দলীয় গুন্ডাবাহিনী লালন করেছে, নির্বাচনী নিয়মকানুন বিকৃত করেছে এবং ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে সুবিধাভোগী চক্র তৈরি করেছে। কিন্তু হাসিনা এসব কৌশলকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যান এবং বাংলাদেশিদের অনেক দূরে ঠেলে দেন।  

ফলে ওই শাসনামল ভবিষ্যৎ সরকারগুলোর ওপর আরও শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ আরোপ ও ভারসাম্য স্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারকে এক প্রজন্মে একবার মিলে এমন অবাধ সুযোগ করে দিয়েছে। আসন্ন সার্বিক সংস্কারের প্রধান লক্ষ্য হলো বিগত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদ এবং অনুগত অযোগ্যদের দিয়ে গঠিত প্রশাসন ব্যবস্থা যাতে ফিরে আসতে না পারে, তা নিশ্চিত করা।

অধ্যাপক ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কতটা সফল হতে পারবে যদিও তা স্পষ্ট নয়, বিকল্পগুলো সুখকর নয় বলেই মনে হচ্ছে। একটি আগাম নির্বাচন সম্ভবত ক্ষমতা কিছুটা কাটছাঁট করে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে; দলটির অতীত কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেরই সংশয়, আওয়ামী লীগের চেয়ে তারা তেমন ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে, এতে সামরিক শাসনামলের সূচনা হবে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য অনিশ্চিত, আপাতত দিল্লির ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ শেখ হাসিনা

ইউনূস সরকারকে যারা দুর্বল করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে এ সরকারের সবচেয়ে ভালো সুরক্ষা হবে অব্যাহতভাবে নিজেদের কাজের সুফল দিয়ে যাওয়া। এটি বর্তমান সরকারকে জনসমর্থন ধরে রাখতে সাহায্য করবে, যখন তারা গভীর সংস্কারে হাত দেবে।  

দ্রুত অর্জনগুলোর মধ্যে সরকারি সেবার ক্ষেত্রে ছোটখাট দুর্নীতি মোকাবিলা, বিদ্যুৎ সরবরাহে উন্নতি সাধন এবং নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য কমানোর মতো বিষয় থাকতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোরালো জনসমর্থন অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো, বিশেষ করে বিএনপিকে এ সরকারের এজেন্ডার পক্ষে থাকতে চাপ দিতে পারে।  

পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের জন্য নিরলস হওয়া উচিত, যেমন সেনাবাহিনী ও শিক্ষার্থী, যারা হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিভাজন ঘুচিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা থেকে বিচারের দাবির বিষয়ে এ সরকারকে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত, তাদের সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীতে বাতিল হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সংবিধানের সীমারেখার মধ্যে থাকা উচিত।  

আরও পড়ুন: রাজনীতিতে আর ফিরবেন না শেখ হাসিনা: জয়

এ সরকারের উচিত, একটি বাস্তবসম্মত সময়সীমার মধ্যে সংস্কার হওয়া নির্বাচন ব্যবস্থার অধীনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা, যা ১৮ মাসের বেশি বাড়ানো উচিত নয়।

বিদেশি সরকার ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা, বিচারিক, নির্বাচনী ও অর্থনৈতিক সংস্কারসহ কারিগরি ও আর্থিক সমর্থন দেওয়া। দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারেও বিদেশি সরকারগুলোর সাহায্য করা উচিত, যেসব অর্থ বাংলাদেশের বাইরে ব্যাংকে ও আবাসন ব্যবসায় রয়েছে।  

ভারতের উচিত হাসিনার শাসনামলজুড়ে তাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেওয়ার ফলে দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত ভাবমূর্তি মেরামতে পদক্ষেপ নেওয়া। বাংলাদেশের যাতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের এ সুযোগ হাতছাড়া হয়ে না যায়, যে পরিবর্তনের জন্য দেশটির অনেক মানুষ ব্যাকুল হয়ে আছে; তা নিশ্চিত করতে দেশের ভেতরের ও বাইরের সমর্থন হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।