রাজাপুর হাসপাতালে কাটাছেঁড়ার সেলাইয়ের জন্য অর্থ নেওয়ার অভিযোগ
- ঝালকাঠি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ PM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ PM
ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে কাটাছেঁড়ার সেলাইয়ের জন্য রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বিবেক সিকদারের বিরুদ্ধে।
রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর মায়ের পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে রাজাপুর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি রুমে গেলে ডিউটিরত অ্যাসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার নিজেই কাটা পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন৷ এরপর সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন তিনি৷
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজাপুর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার যখন ডিউটিতে থাকে, তখন হাসপাতালে আসা কাটাছেঁড়ার সব রোগীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা নেন। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে সেলাই দেওয়ার ৩ দিন পর আবার হাসপাতালে ব্যান্ডেজ খুলে সেলাই স্থান পরিষ্কার করার জন্য হাসপাতালে এলে তখনো তাকে টাকা দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ভাসমান আমড়ার হাট, দেশের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশে
এ বিষয়ে সংবাদকর্মী মো. নাঈম বলেন, তার মায়েল পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ডিউটিরত অ্যাসিস্ট্যান্ট পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেন। এর বিনিময়ে টাকা দাবি করেন, তখন তাকে সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা নিয়ম সবাই টাকা দেয়।
নাঈম আরও বলেন, ‘আমার আম্মুর আগে যে রোগী ছিল, তার কাছ থেকেও এই বিবেক সিকদার টাকা নিয়েছেন। তিনি ডিউটিতে থাকা অবস্থায় এ রকম রোগীদের থেকে টাকা নেন। ইমার্জেন্সি রুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে তার টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া যাবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিবেক সিকদারের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে ডা. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে তিনি জানান, খুশি হয়ে অনেকেই টাকা দেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে অভিযানের ট্রলারচালকের নেতৃত্বে ধরা হয় ইলিশ
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল বলেন, ‘বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে বলে তাকে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক জানিয়েছেন। যদিও তিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ নন। এখনো তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। ঘটনা শুনে একজন আর এম ও কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদে বিবেক শিকদার ঘটনা অস্বীকার করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. নাঈম হাসান ঈমন