পুরোনো যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে নিতে ৬ মাস সময় পাবেন মালিকরা

ঢাকার রাস্তায় পুরোনো বাস
ঢাকার রাস্তায় পুরোনো বাস   © সংগৃহীত

মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকায় পুরোনো মোটরযান নিষিদ্ধ করতে ছয় মাস সময় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময়ের মধ্যে মোটরযান মালিকরা পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির মোটরযানে পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুরাতন মোটরযান অপসারণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সভা শেষে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটা অঙ্গীকার নিয়ে আজকে এ সভা করেছি। সেখানে সব অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। সভায় রাস্তা থেকে পুরোনো যানবাহন সরিয়ে নিতে ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বিক্রি করার অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘হঠাৎ বাসগুলো তুলে নিলে জনদুর্ভোগ হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে মালিকরা নতুন বাস কেনার জন্য সরকারের কাছ থেকে ঋণ পেতে পারেন কিনা, ইলেকট্রিক ভেহিকল নীতিমালার অধীনে সরকার ইলেকট্রিক ভেহিকল প্রকিউর করবে কিনা, এ বাসগুলো কনভারশনের কোনো সুযোগ আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ছয় মাস সময় দেয়া হয়েছে।’

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, পুরোনো মোটরযান অপসারণের জন্য সরকার শিগগিরই একটি কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে, যা শহরের যানজট ও দূষণ কমাতে সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন: রাজধানীর সড়ক থেকে ২০ বছরের পুরনো বাস সরিয়ে নিতে চান পরিবেশমন্ত্রী

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা যেকোনো দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হব না। তবে জনদুর্ভোগ যাতে না হয়, তা বিবেচনায় নিতে হবে। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার সঙ্গে কিছু মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। সব দিক বিবেচনা করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০-২৫ বছরের পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ পুরোনো মোটরযান রাস্তা থেকে অপসারণ করার লক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহসানুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ