রাত ১২টা থেকে বন্ধ মোটরসাইকেল চলাচল, কাল থেকে যেসব যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা

৭২ ঘণ্টা দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ
৭২ ঘণ্টা দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ  © প্রতীকী ছবি

আগামী রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে তার আগে ও পরে মিলিয়ে ৭২ ঘণ্টা দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; যা আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে শুরু হবে। একইসঙ্গে ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলও বন্ধ থাকবে আগামীকাল শনিবার (৬ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে ভোটের দিন রবিবার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।

সম্প্রতি এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে ভোটের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত বাইক চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলতে পারবে। এজন্য রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন নিতে হবে এবং স্টিকার প্রদর্শন করতে হবে।

আগামী রবিবার ভোট হবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর আগে প্রচার শেষ হয়েছে আজ সকাল সকাল ৮টায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের বহনকারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন, ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা নেই। 

এছাড়া বিদেশ থেকে দেশে আসা এবং বিদেশে যাওয়া ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনকে বহনকারী যানবাহন চলাচলে বাধা থাকবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উড়োজাহাজের টিকেট দেখাতে হবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী এবং দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচলেও কোনো বাধা থাকছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

অপরদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি এবং প্রার্থীর এজেন্টদের জন্য একটি গাড়ি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষ স্টিকার দেখিয়ে চলাচল করতে পারবে।

নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা অন্য কোনো ব্যক্তি মোটরসাইকেলের অনুমতি পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। 

বিআরটিএ বলছে, জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বের হওয়া বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা ওই ধরনের সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এ ছাড়া ডিসি স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও শিথিল করতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ