রাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাইনি, পুলিশের নোটিশের বিষয়ে জানি না: হাসনাত

হাসনাত আব্দুল্লাহ
হাসনাত আব্দুল্লাহ  © সংগৃহীত

দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সফর করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশালসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় সফর শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা। সফরকালে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

এবার সেই চিঠি নিয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ব্যাখ্যা দেন তিনি।

জেলা প্রশাসকদের দেওয়া চিঠির সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ফেসবুক পোস্টে হাসনাত বলেন, ‘আমরা কোন রাষ্ট্রীয় সফরে আসিনি। আমরা রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক হিসেবে ছাত্র-জনতার কাছে এসেছি। একজন সাধারণ নাগরিক যেমন নিরাপত্তা পায়, আমরাও তেমন নিরাপত্তা চাই। এর বেশি নয়। আমরা কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে আসিনি, তাই রাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাও চাইনি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো পুলিশ সদর দপ্তরের নোটিশের বিষয়ে আমরা অবগত নই। সরকারের কাছেও আমরা এমন কিছু চাইনি।’

পোস্টে হাসনাত আরও লেখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপামর ছাত্র সমাজ ও জনগণের প্ল্যাটফর্ম। ছাত্র-জনতাই আমাদের ভরসা ও নিরাপত্তা। সারা দেশের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা যে সফর শুরু করেছি, তা ছাত্র-জনতার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণেই সফল হবে। এজন্য আমাদের কোনো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। ছাত্র-জনতাই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘ছাত্র-জনতার প্রতি আমাদের আহ্বান, সব বিভ্রান্তি ও মনোমালিন্য দূরে সরিয়ে রেখে দেশ পুনর্গঠনে সংহতি ও ঐক্য বজায় রাখুন।’

এর আগে গত রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন্স শাখা থেকে এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন্স শাখার অ্যাডিশনাল ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদ। 

তারই সই করা অতি জরুরি চিঠিতে বলা হয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সফর করবেন বলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সফর উপলক্ষে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সমন্বয়কদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে অপরাধবিষয়ক সাংবাদিক নুরুজ্জামান লাবু এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘সমন্বয়কদের নিরাপত্তা জনিত চিঠিটা নিয়ে হুদাই হাউ কাউ করতেছে বেহুদা বাঙালি। এইটা নিয়মিত নিরাপত্তাব্যবস্থার একটা অংশ মাত্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যক্তি বা অনুষ্ঠানের সেনসিটিভিটি ও ঝুঁকি বিবেচনা করে। সমন্বয়কদের জেলা সফরের মতবিনিময় সভাগুলোর সেনসিটিভিটি ও ঝুঁকি আছে। তাই আগেভাগে নিরাপত্তা জোরদার করা ক্রাইম প্রিভেনশনের একটা পার্ট।’


সর্বশেষ সংবাদ