বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিজের নাম জড়ানোয় প্রতিবাদ করলেন সোহেল তাজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ AM , আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ AM
সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ ঢাকার পিলখানায় ১৫ বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহের দিন কী কী হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা পিলখানার বিদ্রোহ নিয়ে কথা বলেছেন। পিলখানার এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে নাম জড়ানো হয় তানজিম আহমেদ সোহেল তাজেরও। তবে কোন প্রমাণ ছাড়াই নাম জড়ানোয় প্রতিবাদ করেছেন সোহেল তাজ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এসে এক ভিডিওর মাধ্যমে এই প্রতিবাদ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন বীর নক্ষত্রকে আমরা হারিয়েছি। অব. মেজর জেনারেল মতিনের নেতৃত্বে একটি সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নানা দিক তুলে ধরেন। সেখানে আমার প্রসঙ্গ টানা হয়েছিল। বিষয়টিতে আমি আশ্চর্য হয়েছি।
এ সময় সোহেল তাজ ওই সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিওক্লিপ প্লে করেন যেখানে মেজর মতিন এই হত্যাকাণ্ডে সোহেল তাজের সম্পৃক্ততার কথা বলেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বলা হচ্ছে জেনারেল এরশাদের কাছে তিনি এমনটা শুনেছেন। একজন প্রয়াত ব্যক্তির কাছ থেকে শোনা কথা নিয়ে তিনি যুক্তি দিয়েছেন যা কখনোই ঠিক নয়। প্রমাণ ছাড়া একজন মানুষকে কালিমা দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এরকম একটা নিকৃষ্ট হত্যাকাণ্ডের কেন একটা মহল বার বার সোহেল তাজের নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমার পরিবার এবং আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি ভয় পাই না সত্যই আমার সবচেয়ে বড় ঢাল। আমি চাই আসল সত্যটা বের হয়ে আসুক।এ সময় এমনটা কেন বলা হয়েছে এই কথার জবাব চান তিনি।
এদিকে, পিলখানার এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন সে সময়কার সেনাবাহিনী প্রধান মঈন ইউ আহমেদ। বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ বিষয়ে কথা বলেন। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনার আমি যখন তদন্তের আদেশ দেই, তখন আমাকে বলা হয় যখন সরকার এ বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী? এই তদন্ত করতে সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য প্রয়োজন তা আমরা পাইনি।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)। তিনি তার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি। কারণ, যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের অনেকে জেলে ছিল। অনেককে প্রশ্ন করা সম্ভব হয়নি। যারা বিভিন্ন আলোচনায় এদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদেরও স্টেটমেন্ট নেওয়া সম্ভব হয়নি। সেজন্য তিনি তার দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। সেনাবাহিনীর তদন্ত চলাকালীন জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম বেশ কয়েকবার আমার কাছে এসেছেন এবং তার সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।’
মঈন ইউ আহমেদ বলেন, ‘আমি আশা করি, তিনি এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়েছেন, তিনি এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে জড়িতদের বের করতে সক্ষম হবেন। আমি সরকার গঠনের পর তাকে এই বিষয়ে অনুরোধ করেছি।’ নিজের ভিডিওতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন মঈন ইউ আহমেদ। এ সময় বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তার লেখা বই খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মইন ইউ আহমেদ বই লিখেছেন এবং তা শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।