হেফাজতের নেতাকর্মীদের হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৯ PM , আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৯ PM
২০১৩, ২০১৬ এবং ২০২১ সালে নেতাকর্মীদের যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিতে হবে। একইসঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে বলেছেন—হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দাবি করে হেফাজতের এ নেতা বলেন, কোথাও কোথাও বিদ্রোহ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে করে জনমানসে বিক্ষোভ তৈরির চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বিক্ষোভ তৈরিতে হেফাজতে ইসলাম বিশ্বাস করে না।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাই হেফাজতে ইসলামের প্রধান লক্ষ্য। সর্বস্তরের জনগণ, নেতা-কর্মী ও আলেম সমাজকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে আলেমসমাজ কাজ করতে সদা প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ ও মতামত নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
গণসমাবেশে এ সময় মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন ও মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল হামীদ, ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী, মুফতি কামাল উদ্দিন, মুফতী মাসঊদুল করীম, মুফতি নূর হুসাইন নূরী, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি রেজাউল করিম আবরারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।