যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০৭:০৫ AM , আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ০৭:০৮ AM
রেলমন্ত্রীর আশ্বাসের এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফরিদপুরে স্টপেজ (যাত্রাবিরতি) না দেওয়ায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীগামী চন্দনা কমিউটার ট্রেন রাতের আঁধারে আটকে দিয়েছেন ফরিদপুরের লোকজন।
বুধবার (০৫ জুন) রাত পৌনে ৯টা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট ফরিদপুর রেলস্টেশনে চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি থামিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা এর আগে ফরিদপুরে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করি। এর প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী জুন মাসের শুরুতে চন্দনা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুরে স্টোপেজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে, মন্ত্রী সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। তাইতো এসময় মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
খবর পেয়ে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনটি ছেড়ে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজিব আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সাথে নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালু। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, ফরিদপুরের উপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা সুলভে ঢাকার সাথে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা কয়েক দফা আন্দোলনের পর রেলমন্ত্রী জুন মাসের শুরুতে ফরিদপুর স্টোপেজ দেওয়ার প্রতিশ্রিতি দিলেও কথা রাখেনি। আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে অনতিবিলম্বে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এই চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবি জানাই। অতি শিগগিরই স্টপেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে ফের লাগাতার কর্মসূচি শুরু করা হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানা গেছে, এ রেলপথ দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস, সুন্দরবন, রাজশাহী ও নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস চলাচল করে। চারটি ট্রেনেরই ফরিদপুরে যাত্রাবিরতি রয়েছে। কিন্তু চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফরিদপুর রেলস্টেশনে না থাকায় এ বিক্ষোভ করা হচ্ছে।