সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার  ৯০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যায় প্লাবিত

  © সংগৃহীত

সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৩টি প্লাবিত হয়েছে। আর ৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব কটিতেই বন্যার কারণে গতকাল পর্যন্ত ক্লাস হয়নি। সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকার ১ হাজার ২৪৫টি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩১৪টিই পানিতে ডুবে আছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় গত বৃহস্পতিবার মোট ৪৬৫টিতে ক্লাস করানো সম্ভব হয়নি। পানি থাকায় এবং আশ্রয়কেন্দ্র হওয়ায় গত শনিবার ও গতকাল রোববার ক্লাস হয়নি আরও ২৫টি বিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ সোমবারও সেগুলোতে ক্লাস করানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।

জেলা ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১ হাজার ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭৪টি প্লাবিত হয়েছে। ৩৮৬টিতে বৃহস্পতি ও রোববার আরও ১৫টিতে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। আর ২৪৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০টি প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭৯টিতে এবং শনিবার আরও ১০টিতে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৩টি প্লাবিত হয়েছে। আর ৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব কটিতেই বন্যার কারণে গতকাল পর্যন্ত ক্লাস হয়নি।

জৈন্তাপুরে ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার ক্লাস হয়নি। ১০টিতে রোববার ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টি প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সব কটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল একেবারে কম।

কোম্পানীগঞ্জের গৌরীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র শর্মা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে নৌকায় করে যেতে হয়েছে। বিদ্যালয়ের নিচতলায় ছিল দেড় ফুট পানি। যে কারণে শিক্ষার্থীরা আসেনি। এখনো বিদ্যালয়ে পানি।’

কানাইঘাটের ১৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ছিল, আর ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি প্লাবিত হয়েছে। জকিগঞ্জের ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬টির মাঠে পানি রয়েছে। এগুলোতে রোববার ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম মিয়া। আর ২৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দুটি প্লাবিত হয়েছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১টি প্লাবিত হয়েছে এবং এগুলোতে রোববার ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর ৪৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪টি বন্যায় প্লাবিত। শনিবার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া যায়নি বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান। আজও ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে না বলে তিনি জানান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত এরশেদ বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলার অনেকগুলো স্কুল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র; যেগুলোর বেশির ভাগে মানুষ উঠেছে। পানি বাড়ার কারণে বৃহস্পতিবার এই উপজেলাগুলোর বেশির ভাগ এবং গতকাল অনেক স্কুলে ক্লাস করানো সম্ভব হয় না।’


সর্বশেষ সংবাদ