ঘূর্ণিঝড় রেমালে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি, ৩০টি মৃত হরিণ উদ্ধার

মৃত হরিণ
মৃত হরিণ   © সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবনসহ বাগেরহাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায়ই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় এই সুন্দরবনকে। সুন্দরনে অভ্যন্তরে মিঠাপানির পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বনকর্মীদের পাশাশাশি বাঘ, হরিনসহ বন্যপ্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে ভেসে গিয়ে মারা যাওয়ারও খবর মিলেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ৩০ টি হরিণের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বন বিভাগ। এছাড়া অনেকগুলো হরিণকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, এখনো আমরা সব জায়গায় যেতে পারছি না। সাগর ও নদী উত্তাল। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ঘণ্টা জলোচ্ছ্বাস ছিল। যার ফলে অনেক বন্য প্রাণী মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছি। আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আমরা জানাতে পারব।

তিনি বলেন, কটকার পুকুরটি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। বিভিন্ন বন অফিসের জানালার গ্লাস, সোলার প্যানেল ও পানির ট্যাংক ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেটি, পুকুরসহ অন্যান্য স্থাপনাও।

জানা গেছে, রেমালের তাণ্ডব চলাকালে জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে কটকা অভয়াণ্যে অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কোচিখালি, বগিসহ বিভিন্ন বন অফিসসহ বিভিন্ন টহলফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অবকাঠামোর টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। 

আরও পড়ুন: বিদ্যুতায়িত হয়ে রাজধানীতে প্রাণ গেল ৪ জনের

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে ভয়াবহ ঘর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অন্যতম সিডর, আইলা। কিন্তু সেসব ঘূর্ণিঝড় যতটা সময় ধরে উপকূলে তাণ্ডব চালায়, তারচেয়ে বেশি সময় ধরে চলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব। ঘূর্ণিঝড়ে আট থেকে দশ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন। রোববার দুপুরেই সুন্দরবনের করমজল, দুবলা, কটকা, বন বিভাগের ১৬টি ক্যাম্পসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়। এর আগে ২০১৯ সালে আম্ফানে ও ২০২২ সালে ইয়াসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন।

 

সর্বশেষ সংবাদ