তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে দায় সরকার ও স্কুল কর্তৃপক্ষের

তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে ছাতা হাতে বাড়ি ফিরছেন শিক্ষার্থীরা
তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে ছাতা হাতে বাড়ি ফিরছেন শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ফটো

দেশে তীব্র তাপ প্রবাহ চলছে। চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সালের পর ৭৬ বছরের মধ্যে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে শুক্রবার। দেশে চতুর্থ দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার থেকে খোলা হচ্ছে দেশের সব স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও স্কুল-কলেজ খোলায় কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে এর দায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির সভাপতি মো: জিয়াউল কবির দুলু এ বিবৃতি পাঠিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তীব্র তাপ প্রবাহে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বন্ধ রেখে অন লাইনে শ্রেণির কার্যক্রম তথা পাঠদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিল অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। কিন্তু সারাদেশের  তীব্র তাপ প্রবাহের তেমন কোন উন্নতি না হওয়া  সত্ত্বেও সরকার রবিবার থেকে সব স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খুলে দেয়ার পরিপত্র জারি করেছে। ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপ প্রবাহ চলমান থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে।  সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য দেশের সব মানুষ।  তীব্র তাপ প্রবাহে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের কোথাও  যদি কোন শিক্ষার্থীর কোন রকম জীবন বিপন্ন ঘটে বা কোন রকম ক্ষতি গ্রস্হ হয়, তার সব ধরনের দায়ভার সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষে বহন করতে হবে।’

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে সরকারের আরেকটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনই স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হয়নি। কেননা স্কুল-কলেজে গাদাগদি করে ক্লাস করতে হয়। একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী একটি রুমে থাকায় রুমের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

এ বিষয়ে শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই তাপমাত্রার মধ্যে শিশুদের কোনভাবেই ঘর থেকে বারহওয়া উচিত না,তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা বাইরে গেলে নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখাই ভালো। বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তখন স্কুল খুললে ভাল হতো। এখন যেহেতু স্কুল খোলা হচ্ছে, তাই বাচ্চাদের পোশাক, স্কুলের পরিবেশসহ আনুষঙ্গিক সব বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে।’

 

সর্বশেষ সংবাদ