পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৬ কোটি ছাড়ালো, চলছে গণনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১০ PM , আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৫ PM
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা দান হিসেবে পাওয়া গেছে। গণনায় এরইমধ্যে ৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। পাগলা মসজিদের নয়টি দান সিন্দুক খোলার কাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে সাতটায়। এখনও চলছে গণনার কাজ। টাকার পাশাপাশি দানবাক্স থেকে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মসজিদের ১০টি সিন্ধুক খোলা হয়।
মসজিদের মেঝেতে ঢেলে মাদ্রাসার ১৩৪ জন ছাত্র, ১০ জন শিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৭০ জন কর্মকর্তা, ১০ জন আনসার সদস্য টাকাগুলো গণনা করছেন। দিনভর গণনা শেষে রাতে টাকার পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এবার চার মাস ১১ দিন পর মসজিদের দানসিন্দুক খোলা হয়। পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স থাকলেও দানের টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। এখন পাগলা মসজিদে দানবাক্সের সংখ্যা ১০টি।
টাকা গণনাকালে ৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এবার ৭ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে টাকার পরিমাণ। এছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই ৫কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যাংকের ভোল্টে জমা করা হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, অতীতে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৯ই ডিসেম্বর এ মসজিদের দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। পরে টাকা গণনা করে সর্বোচ্চ ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও।
মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।