চরফ্যাশনে স্কুল শিক্ষিকাকে কোপানোর ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

আ. খালেক মালতিয়া
আ. খালেক মালতিয়া  © সংগৃহীত

ভোলার চরফ্যাশনের ১০৭ নং পূর্ব ওমরাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সীমা বেগমকে (২৫) কুপিয়ে জখম করার ঘটনার প্রধান আসামি আ. খালেক মালতিয়াকে (৫৫) গ্ৰেফতার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতাল থেকে খালেক মালতিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এসময় তার সাথে থাকা অন্য আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী খালেক মালতিয়া উল্টো আহত শিক্ষিকার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মাথায় ভুয়া ব্যান্ডেজ করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একাধিক সাংবাদিকের উপস্থিতিতে খালেক মালতিয়ার মাথার ব্যান্ডেজ খুলে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আহত সীমা বেগম খালেক মালতিয়ার আপন বড় ভাইয়ের মেয়ে। দীর্ঘদিন উভয় পরিবারের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে গত (১২ এপ্রিল) রাতে খালেক মালতিয়া ও তার পরিবারসহ সীমা বেগমের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্কুল শিক্ষিকা সীমা বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী রক্তাক্ত সীমা বেগমকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় (১৩ এপ্রিল) সীমা বেগমের বড়বোন জান্নাতুল ফেসদাউস বাদী হয়ে আ. খালেক মালতিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার ওসি ম. এনামুল হক বলেন, প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ