খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতাল পরিচালকের জামিন

আহনাফ তাহমিদ
আহনাফ তাহমিদ  © সংগৃহীত

মালীবাগ রেলগেটের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় শিশু আহনাফ তাহমিদের। এ ঘটনায় গ্রেফতার হন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ডা. এস এম মুক্তাদির এবং চিকিৎসক মাহবুব। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হাইকোর্ট মুক্তাদিরকে জামিন দিয়েছেন। 

মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় শিশুটির বাবা ফখরুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে আটজনকে আসামি করা হয়। পরে  ডা. এস এম মুক্তাদির ও ডা. মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘দোষী প্রমাণিত হলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির বিরুদ্ধে শুধু কঠোর ব্যবস্থাই নেয়া হবে না, দায়িত্বে অবহেলাকারীদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। যাতে পরবর্তী সময়ে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের দায়িত্বে অবহেলা করতে সাহস না পায়। চিকিৎসায় অবহেলা পাওয়া গেলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্বজনরা জানান, শিশু আহনাফ তাহমিদ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ১০ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিদকে সুন্নতে খতনা করাতে নিয়ে যান বাবা ফখরুল আলম। হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদিরের নেতৃত্বে তাহমিদকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় হাসপাতালে দায়িত্বরত ডা. মাহবুব ও ডা. ইশতিয়াক আজাদ। ২০ মিনিট পর আহনাফকে দেখতে চান পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে শুরু হয় হট্টগোল। এরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করেন তারা।
  
পরিবার বলছে, প্রথমে লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করার কথা থাকলেও, দেয়া হয় জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া। অপারেশনের কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলেও বমি করে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় তাহমিদ।

 

সর্বশেষ সংবাদ