আবৃত্তিতে প্রথম হয়েছিলেন চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যাওয়া সেই আহনাফ

আহনাফ
আহনাফ  © ফাইল ছবি

খতনা করতে গিয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু হওয়া শিশু শিক্ষার্থী আহনাফ আবৃত্তিতে প্রথম হয়েছিলেন। আহনাফের মৃত্যুর একদিন পর স্কুল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

আহনাফের বাবা ফখরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, লোকাল ইনজেকশন দিয়ে যেন ছেলের খতনা করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পর তাহমিদকে উচ্চ ক্ষমতার ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এতেই তাহমিদের মৃত্যু হয়।’ আমি কোনো ক্ষতিপূরণ চাই না। আমি আমার ছেলেকে হত্যার দ্রুত বিচার চাই।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিক্যাল চেকআপ সেন্টার হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে আহনাফ মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজনকে আসামি করে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি চিকিৎসকের অবহেলায় তাঁর সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ করেন।

মামলায় হাসপাতালটির মালিক মুক্তাদিরসহ অবেদনবিদ মাহবুব ও অস্ত্রোপচার বিশেষজ্ঞ ইশতিয়াক আজাদকে আসামি করা হয়েছে। হাসপাতালের মালিক ডা. মুক্তাদির ও ডা. মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মামলার সবশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসককে কেরানীগঞ্জের কারা ফটকে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই দুজন জানিয়েছেন, আহনাফের মা-বাবার অনুমতি ছাড়াই অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। শিশুটিকে বাঁচাতে না পেরে তাঁরা অনুতপ্ত। শুরুতে শিশুটি ভয় না পেলেও অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার পর কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর অ্যানেসথেসিয়া দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপরও তাকে শান্ত করা যাচ্ছিল না। তখন আরেকটি ওষুধ দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ