পহেলা বৈশাখ পালনে সময়ের বিধিনিষেধ না মানার ঘোষণা সাংস্কৃতিক জোটের

  © সংগৃহীত

নববর্ষ উদযাপন করতে বেধে দেওয়া সময়ের নির্দেশনা না মানার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। রোববার (০৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

পহেলা বৈশাখে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সে প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু জানান, পহেলা বৈশাখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা যদি পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করি, তাহলে মৌলবাদ শক্তিশালী হবে। পহেলা বৈশাখ একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব। মৌলবাদ ঠেকাতে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে।’

এর আগে, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ফানুশ, আতশবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ১৩ নির্দেশনা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। নির্দেশনা পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশও (ডিএমপি) জানিয়েছে নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তবে এরপরই গত ২৯ মার্চ এক বিবৃতিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জানায়, প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈশাখী উৎসব এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের নির্দেশনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হচ্ছে। সকল জাতীয় দিবস এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও শুধুমাত্র বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ আয়োজনকে সীমিত করে দেওয়া কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাঙালি সংস্কৃতি-বিরোধী শক্তি উল্লসিত হবে।’

 

সর্বশেষ সংবাদ