প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ করতে ফটোকপির দোকান বন্ধের নির্দেশ

ফটোকপির দোকান
ফটোকপির দোকান  © প্রতীকী ছবি

সরকাারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে নেত্রকোনার স্থানীয় প্রশাসন গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলার সব ফটোকপির দোকান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ স্বাক্ষরিত গণ-বিজ্ঞপ্তিটি বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রচার করা হয়। এতে কিছু মানুষ বিরোধীতা করলেও বেশিরভাগ দোকানি, পরীক্ষার্থী ও কোচিং সেন্টারের মালিক সাধুবাদ জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, হঠাৎ বন্ধের নির্দেশ না দিলে এরা আগেই সব অনিয়ম করে। ফলে এটি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মত তার।

জেলা শহরের মোক্তারপাড়া প্রেসক্লাব ভবনের নীচের রাসেল ফটোকপির দোকানের মালিক মো. রাসেল বলেন, ‘আমি এমনিতে শীতের রাতে সন্ধ্যার দিকেই দোকান বন্ধ করে দিই। এছাড়া শুক্রবার ছুটির দিন। রাতে তেমন কোনো কাজ নেই। শুক্রবারও তেমন কাজ হয় না। দুপুর থেকে তো চালু রাখতেই পারব।’ এ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য এমন একটি উদ্যোগ নেয়ায় প্রশাসনকে তিনি সাধুবাদ জানান।

পরীক্ষার্থী মির্জা হৃদয় সাগর বলেন, সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে এবার। তা না হলে এদিনে ফটোকপি এবং কিছু অসাধু কোচিং শিক্ষক রমরমা বাণিজ্য করে। পড়াশোনা করা ছেলে মেয়েদের থেকে অনেক সময় এসবের কারণে অযোগ্যরা এগিয়ে যায়। আমি এ জন্য একজন পরীক্ষার্থী হয়ে প্রশাসেনর এমন কাজে খুশি হয়েছি। আশা করব, বাকিটুকুও যেনো স্বচ্ছ হয়।

এদিকে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর ২য় গ্রুপের (রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠানের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টা পর্যন্ত সব ফটোকপির দোকান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।’

আরো পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় বসছে ৪ লাখ প্রার্থী

গণবিজ্ঞপ্তি জারির পরপরই জেলার সব ফটোকপির দোকান বন্ধ হতে থাকে। এদিকে কোচিং সেন্টারগুলো থেকে শিক্ষার্থীদেরকেও জানিয়ে দেন শিক্ষকরা। মোক্তারপাড়া এলাকার কনিকা কোচিং একাডেমির পরিচালক জোনয়েদ হাসান টিটু জানান, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এতে যোগ্যরা পরীক্ষা দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে। এক বেলা কোচিং বন্ধ থাকলে ক্ষতি হবে না।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষিত শিক্ষক নিতে পারলে মেধাসম্পন্ন জাতি তৈরি হবে। এ লক্ষ্যেই এমন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর আগে আমরা কয়েকদিন আগে সতর্কবার্তা দিয়েও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি বিভিন্ন সামজিকমাধ্যমে।


সর্বশেষ সংবাদ