রাজধানী থেকে সহজে বাণিজ্যমেলায় কীভাবে যাবেন, ভাড়া কত

রাজধানী থেকে সহজে বাণিজ্যমেলায় কীভাবে যাবেন
রাজধানী থেকে সহজে বাণিজ্যমেলায় কীভাবে যাবেন  © সংগৃহীত

দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সব থেকে বড় আয়োজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের পর্দা উঠেছে। মাসব্যাপী চলা এবারের মেলায় ব্যবসায়ীদের স্টল ও দর্শনার্থীদের প্রবেশমূল্য দুটিই বাড়ছে। মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশের টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা (প্রাপ্ত বয়স্ক) নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ টাকা। তবে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা তাদের কার্ড প্রদর্শনপূর্বক বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলার টিকিট অনলাইনেও বিক্রয় করা হবে। বিকাশের মাধ্যমেও ডিসকাউন্টে টিকিট বিক্রি করা হবে।

এবারের আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

তবে রাজধানীর বাইরে মেলা হওয়ার কারণে অনেক দর্শনার্থীরা সহজে মেলায় আসা-যাওয়ার উপায় খুঁজে না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তবে রাজধানী থেকে বেশ কয়েকটি উপায়ে মেলায় সহজে আসা-যাওয়া করা যায়। এতে ভোগান্তি লাগব হবে দর্শনার্থীদের।

মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড হতে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে। বিআরটিসি তৃতীয়বারের মতো এই মেলায় নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ভাড়ায় যাত্রী সেবা দিতে যাচ্ছে।

যেভাবে যাবেন এবারের বাণিজ্যমেলায়, চলুন জেনে নেই-
কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। রাস্তা ফাঁকা থাকলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় পৌঁছতে সময় লাগতে পারে ৫০ মিনিট। উপরন্তু যানজট থাকলে বাণিজ্য মেলায় যেতে ২ ঘণ্টাও লাগতে পারে। তাই পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বের হতে হবে।

বিমানবন্দর, মিরপুর, টঙ্গী, বনানী, গুলশান, বারিধারা, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, নদ্দা, রামপুরা, বনশ্রী এমনকি জয়দেবপুর, গাজীপুর এলাকার বাসিন্দারা কুড়িল ফ্লাইওভার ব্যবহার করে তিনশ ফিট দিয়ে মেলায় আসতে পারবেন সহজেই। যাদের নিজস্ব পরিবহন নেই তারা গণপরিবহনে কুড়িল পর্যন্ত এসে সেখান থেকে বিআরটিসির বাসে মেলায় আসতে পারবেন সরাসরি।

কুড়িল বিশ্বরোড, খেজুর বাগান (ফার্মগেট), নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্যে বিআরটিসি বাস ছেড়ে যাবে। মেলা শেষে নির্দিষ্ট রুটগুলোতে যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দেবে বিআরটিসি। প্রতিদিন প্রায় ৬০টি বাস চলাচল করবে এবং ছুটির দিনে প্রায় ২০০ বাস চলাচল করবে। 

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা, খেজুর বাগান (ফার্মগেট) থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা। নরসিংদী থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ টাকা।


সর্বশেষ সংবাদ