থার্টিফার্স্ট নাইটে কেরোসিন মুখে নিয়ে আগুনে দগ্ধ সিয়াম মারা গেছে

  © প্রতীকী ছবি

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ২০২৩ সালের শেষ দিনের রাতে রাজধানীতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপন করতে কেরোসিন মুখে নিয়ে আগুন জ্বালানোর সময় একই পরিবারের তিন কিশোর দগ্ধ হয়। এর মধ্যে দগ্ধ হওয়া রহমত উল্লাহ সিয়াম (১৪) মারা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মজিবর ঘাট এলাকার ৫ নম্বর গলির একটি বাসার ছাদে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করার সময় আগুন ধরে যায় তার শরীরে। আর সেই আগুন নেভাতে গিয়ে সামান্য দগ্ধ হয় তার দুই চাচা রাকিব (১৭) ও রায়হান (১৭)।

সিয়ামের বাবা স্বপন ব্যাপারী জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে সোমবার রাতে মারা যায় সিয়াম। মঙ্গলবার ভোরে মরদেহ হাসপাতাল থেকে মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাকিবের খালাতো ভাই মো. সজিব জানান, মজিবর ঘাট ৫ নম্বর গলিতে থাকেন তারা। সেখানে একটি বাড়ির পাঁচতলার ছাদে তারা থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন করছিলেন। সিয়াম মুখে কেরোসিন নিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছিল। তখনই অসাবধানতাবশত তার শরীরে কেরোসিন পড়লে আগুন ধরে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে রাকিব-রায়হান কিছুটা দগ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। বাকী দুজন সামন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। তবে সিয়ামের ৯৫ শতাংশ শরীর পুড়ে গিয়েছিল।

স্বজনরা জানান, সিয়াম চানখারপুল এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের ওয়ার্কশপে কাজ করতো।


সর্বশেষ সংবাদ