২৪ কোটি টাকার সম্পদ কমেছে অর্থমন্ত্রীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ AM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ AM
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তবে ক্রিকেটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ তার। জানা গেছে, সম্পত্তি কমেছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের। স্ত্রী, কন্যা ও নাতি-নাতনিদের দান করায় অর্থমন্ত্রীর ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩০ টাকার সম্পদ কমেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য মন্ত্রীর চেয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে আছেন তাঁর স্ত্রী কাশমেরী কামাল।
হলফনামায় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৮) হলফনামায় উল্লেখ ছিল মন্ত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণ ৬২ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ১৫৩ টাকা।
গত পাঁচ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মাননা বাবদ পেয়েছেন সাত কোটি ৬৮ লাখ দুই হাজার ৬৪৮টাকা। জমি বিক্রি হতে তার মূলধনী লাভ নয় কোটি ৩৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৫ টাকা। গত পাঁচ বছরে মন্ত্রী পারিবারিক খরচ ও আয়কর বাবদ ব্যয় করেছেন আট কোটি ১২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৬৩ টাকা।
তিনি স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা শেয়ারের দুই কোটি চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা কন্যা নাফিসা কামালকে দান-প্রদান করেছেন। স্ত্রী, দুই কন্যা এবং পাঁচ নাতি-নাতনীকে দান-প্রদান করেছেন ৩১ কোটি টাকার সম্পত্তি।
এ ছাড়া স্ত্রীকে স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির শেয়ার বাবদ দান প্রদান করেছেন ৪০ হাজার টাকা। মন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪১ কোটি ৯০ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৪ টাকা। মন্ত্রীর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ৬২ কোটি ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮টাকা।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারী মামলার কথা উল্লেখ করা হয়, যার সবকটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া কোনো ঋণ নেই মুস্তফা কামালের।
আরও পড়ুন: বই লিখে ওবায়দুল কাদেরের বছরে আয় ৪ লাখ
আসন্ন নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ-লালমাই-নাঙ্গলকোট) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই আসনে নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মিসেস জোনাকি হুমায়ূন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তার বাৎসরিক আয় দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই প্রার্থীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকার।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৯৬ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-৯ (পরিবর্তিত হয়ে বর্তমানে কুমিল্লা-১০) নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।