২৮ অক্টোবর নিয়ে মন্ত্রীদের ব্রিফিং, কোনও প্রশ্ন করেননি বিদেশি কূটনীতিকরা

বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ
বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ  © সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি ২৮ অক্টোবর সারা দেশে নৈরাজ্য চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি, জাপান, চীন, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, স্পেন, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় এক ঘণ্টার ব্রিফিংয়ে কোনও কূটনীতিক কোনও প্রশ্ন করেননি বা কিছু জানতেও চাননি। হঠাৎ করেই বিদেশি কূটনীতিকদের গতকাল রবিবার রাতে ব্রিফিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, আজকের ডিপ্লোম্যাটিক ব্রিফিংটি খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সূচনা বক্তব্যে যা যা ঘটেছে, বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলা, জ্বালাও-পোড়াও, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ এবং গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকা, পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য যারা দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলেন, তাদের যেভাবে মেরেছে, সেগুলো আপনাদের (গণমাধ্যমের) মাধ্যমে পাওয়া।

বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি যা সবার কাছে আছে, সেগুলো কূটনীতিকদের দেখানো হয়েছে এবং তাদের অভিব্যক্তি থেকে এটুকু বলতে পারি যে তারা স্তব্ধ হয়ে গেছেন বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, তাদের কোনও প্রশ্ন ছিল না, তারা আমাদের এই প্রেজেন্টেশনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রশ্ন করেননি। তারা শুনেছেন এবং তাদের আমরা লিখিতভাবে পুরো জিনিসটা দিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম দিনই ২৮ তারিখ রাতে তাদের ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলাম।

এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সে প্রতিশ্রুতি কূটনীতিকদের কাছে পুনর্ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তিনি জানান, এ সময় কূটনীতিকেরা কোনো প্রশ্ন করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ